১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১
সংবিধানের মূলনীতি থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বাদ দিলেও প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহ’ ও ‘রাষ্ট্রধর্ম’ ইস্যুতে কোনো সুপারিশ করেনি সংবিধান সংস্কার কমিশন। যেহেতু তারা এই দুটি বাতিলের সুপারিশ করেনি, ফলে ধরে নেওয়া যায় যে তারা রাষ্ট্রধর্ম বহাল রাখার পক্ষে।
আমরা ‘আদিবাসী’ (ইনডিজেনাস) শব্দটিকে ‘আদি বাসিন্দা’ (আরলিয়েস্ট মাইগ্রেন্টস) হিসেবে পাঠ করতে ও কাউন্টার দিতে শিখেছি। প্রপাগান্ডা মেশিন বোধহয় এভাবেই কাজ করে। ‘আদিবাসী’ মোটেও আদি বাসিন্দা অর্থে ব্যবহৃত হয় না।
রাজনৈতিক দলগুলো এই সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ না করলে এটা হবে এক অর্থহীন বিনিয়োগ। সংস্কার বস্তুটি ‘তিক্ত ওষুধ’ নয়, যা অনিচ্ছা সত্ত্বেও, প্রাণের দায়ে, গলাধঃকরণ করতেই হয়।
রাষ্ট্রপতির পদের মেয়াদও এখনকার পাঁচ বছরের বদলে চার বছর করার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
“আমরা কি যুদ্ধ করে অন্যায় করেছিলাম, দেশকে স্বাধীন করে কি অন্যায় করেছিলাম?”
সংসদের মেয়াদ ৪ বছর হওয়ার সুবিধা ও অসুবিধা দুটিই আছে। এটা মূলত নির্ভর করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া এবং গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্বের ওপর।
এর ফলে দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের যে বিধান আওয়ামী লীগ করেছিল, তা বাতিল হয়ে গেল।
সব কাজ গুছিয়ে সুপারিশ জমা দেওয়ার জন্য ৯০ দিন যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন কমিশনপ্রধানদের কেউ কেউ।