গত বছরের ২৫ অগাস্ট ১০ আইনজীবীর পক্ষে এ রিট করেন মোহাম্মদ শিশির মনির।
Published : 20 Apr 2025, 05:49 PM
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট আবেদন নিষ্পত্তির জন্য হাই কোর্টে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
এখন এটি বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে শুনানি ও নিষ্পত্তি হবে।
এর আগে মামলাটি বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত হাই কোর্ট বেঞ্চে শুনানি ও নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় বেঞ্চটি ভেঙে যায়।
এরপর বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
রোববার প্রধান বিচারপতি সাংবিধানিক মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে পাঠান বলে জানান এই আইনজীবী।
বিদ্যমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে ‘অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত রয়েছে’।
১৯৭২ সালের আদি সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ২৫ অগাস্ট ১০ আইনজীবীর পক্ষে রিট করেন শিশির মনির।
রিট আবেদনকারী ১০ আইনজীবী হলেন মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. আসাদ উদ্দিন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জহিরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শাইখ মাহাদী, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল ও যায়েদ বিন আমজাদ।
ওই রিটের ওপর রুল জারি করে হাই কোর্ট। রুলে বিদ্যমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে, না তা জানতে চাওয়া হয়।
আদি সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “বিচার কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনে রত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলা বিধান সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যাস্ত থাকবে।”
কিন্তু পরবর্তী সময়ে এ অনুচ্ছেদে সংশোধনী আনায় বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের পদায়ন, বদলি, পদোন্নতি, ছুটি, শৃঙ্খলা ইত্যাদি নির্বাহী বিভাগের আওতায় চলে আসে। এসব কাজ রাষ্ট্রপতির পক্ষে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ করে থাকে।