শিক্ষকদের আন্দোলনের পেছনে উসকানি আছে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দীপু মনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2023, 02:03 PM
Updated : 24 July 2023, 02:03 PM

জাতীয়করণের দাবিতে মাধ্যমিকের শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে কারও উসকানি রয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

সোমবার ঢাকার বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি একথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, “শিক্ষকদের আন্দোলনের পেছনে অবশ্যই উসকানি আছে। কারণ যারা একেবারে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য নানা রকমের অপকর্ম অতীতে করেছে, যারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না, তারা এখন একেক সময়, একেক দলের ও একেক গোষ্ঠীর ওপর সওয়ার হয়।

“আজকে তারা শিক্ষকদের আন্দোলনের উপর সওয়ার হয়ে তাদের আন্দোলনকে একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা তাদের থাকতেই পারে।”

শিক্ষকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমি শিক্ষকদের বলব, এরকরম কোনো ফাঁদে পা দেবেন না।”

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ব্যানারে গত ১১ জুলাই থেকে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে আছেন।

Also Read: জাতীয়করণের দাবি: প্রেস ক্লাবের সামনে সড়ক আটকে শিক্ষকদের অবস্থান

Also Read: শিক্ষকরা রাজপথেই থাকছেন, শিক্ষামন্ত্রী বললেন ভোটের আগে জাতীয়করণ সম্ভব নয়

Also Read: বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ৩৪ শিক্ষককে মাউশির চিঠি

আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে গত সপ্তাহে দীপু মনি বৈঠক করলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে আসন্ন নির্বাচনের আগে এই দাবি মেনে নেওয়া সম্ভবপর নয় বলে শিক্ষকদের জানান মন্ত্রী। প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষক নেতারা বলেন, তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান। সে পর্যন্ত তারা আন্দোলন থেকে সরছেন না।

এই অচলাবস্থার মধ্যেই ছুটি না নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে দেশের প্রায় সব বিভাগের বিভিন্ন স্কুলের ৩৪ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোরে চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি।

শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে আন্দোলন না চালাতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

তাদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। শিক্ষকদের বলব, তারা যেন শ্রেণিকক্ষে ফিরে যায়।

“আন্দোলন থেকে অধিকাংশ শিক্ষক চলে গেছেন। এখন যারা আছেন, তারা হয়ত আছেন, তারা আরও কিছুদিন বসে থেকে তারপর হয়ত চলে যাবেন।”