ঢাকার উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার পড়ে হতাহতের ঘটনায় সরকারের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে সাতজন করা হয়েছে।
ওই কমিটিকে আগামী সাতদিনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
১৫ অগাস্ট বিকালে উত্তরার জসিম উদদীন সড়ক এলাকার প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনের সড়কে ক্রেইন দিয়ে ট্রেইলারে গার্ডার তোলার সময় তা গাড়ির ওপর পড়ে পাঁচ আরোহী নিহত হন, আহত হন দুজন।
সেদিন সন্ধ্যায় সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী ঘটনাস্থলে পরিদর্শন শেষে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের কথা সাংবাদিকদের জানান।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতারের নেতৃত্বে গঠিত ওই কমিটি পরদিন প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
সচিব আমিন উল্লাহ নুরী বুধবার এক সংবাদ সম্মেলন জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না গ্যাঝুবা গ্রুপ করপোরেশনের (সিজিজিসি) গাফিলতি পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব সেদিন বলেছিলেন, “এখানে প্রজেক্টের পিডি, সুপারভারইজার- প্রত্যেককে আমি লিখিত শোকজ করব, কার কোনো জায়গায় ব্যর্থতা আছে তার ব্যাখ্যা চাইব। আর তদন্ত কমিটি আগামী দুই দিনের মধ্যে আমাকে (চূড়ান্ত) রিপোর্টটা দিবে।”
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব মো. আবু নাছেরের এক আদেশে বুধবার ওই কমিটি পুনর্গঠন করা হয় বলে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
নীলিমা আখতারকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান।
এছাড়া ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার মুহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ, ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের (উত্তর) এডিসি বদরুল হাসান, বিআরটি প্রকল্প পরিচালক (বিবিএ পার্ট) মহিরুল ইসলাম খান, সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী এবং বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. আসিফ রায়হান সদস্য হিসেবে আছেন।
আদেশে বলা হয়, কমিটি দুর্ঘটনার কারণে অনুসন্ধান করবে এবং কেন দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করা এবং ভবিষ্যতের জন্য করণীয় বিষয়ে সুপারিশ করবে।