“তারা অত্যন্ত পরিপক্ব সরকার ....যদি কিছু বলে থাকেন, নিশ্চয়ই এটা অত্র এলাকার উপকারে আসবে।”
Published : 20 Aug 2023, 06:10 PM
শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ভারত সরকারের বার্তা দেওয়ার যে খবর বেরিয়েছে, তা সত্য হলে এতে নয়া দিল্লি সরকারের ‘পরিপক্বতা’ ফুটে উঠেছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ নিয়ে রোববার সংবাদ সম্মেলনে এলে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
মোমেন বলেন, “ভারত সরকার অত্যন্ত পরিপক্ব সরকার। তাদের একটা অত্যন্ত শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ। তারা যেটা ভালো মনে করেন, সেটাই তারা করেছেন।”
ভারতের সংবাদ মাধ্যমে দুদিন আগে খবর আসে, ওয়াশিংটনে পাঠানো এক কূটনৈতিক বার্তায় নয়া দিল্লি বলেছে, বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র যে অবস্থান নিয়েছে, তার সঙ্গে নয়া দিল্লি একমত নয়।
ওই কূটনৈতিক পত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার সরকার দুর্বল হয়ে পড়লে ভূরাজনৈতিক দিক থেকে তা ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র কারও পক্ষেই সুখকর হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা এই খবরের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন মোমেনের কাছে।
এর সত্যাসত্য নিশ্চিত না করে তিনি বলেন, “এ সম্পর্কে বলার কোনো কারণ নাই। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি, তারা অত্যন্ত পরিপক্ব সরকার ব্যবস্থা এবং তারা নিজেদের জন্য এবং অন্যান্য আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য যদি কিছু বলে থাকেন, নিশ্চয়ই এটা অত্র এলাকার উপকারে আসবে।”
বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে এই খবর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশের কোনও নির্বাচনে ভারতের ‘হস্তক্ষেপ’ দেখছেন না কাদের
বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ভারতও বুঝবে, আশা ফখরুলের
এক প্রতিক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কী বার্তা দেওয়া হয়েছে, সেটা আমেরিকা আর ভারতের বিষয়, বাংলাদেশ সরকার এটাতে কৌতূহলী নয়।
তিনি একইসঙ্গে দাবি করেন, ভারত কখনোই বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি।
অন্যদিকে এই খবর সত্য হলে তা বাংলাদেশের নির্বাচনের উপর ভারতের হস্তক্ষেপের নজির হবে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে তিনি একই সঙ্গে আশা প্রকাশ করেন, ভারতের অবস্থান বাংলাদেশের জনগণের চাওয়ার বিপরীতে যাবে না।
প্রকাশিত খবর নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের অবস্থানের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সেটাকে ‘ইতিবাচক’ হিসাবে দেখার কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।