“কয়েকজন বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। এই বিস্ফোরণের তথ্যের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি,” বলছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক।
Published : 01 Mar 2024, 10:22 AM
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের তথ্য পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বিস্ফোরণের এই তথ্য ধরে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানের কথা জানিয়েছেন এ বাহিনীর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
অগ্নিকাণ্ডের পরদিন শুক্রবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্র বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পাশপাশি কয়েকজন বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। এই বিস্ফোরণের তথ্যের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।”
আগুন লাগার পর রাতে ফায়ার সার্ভিস জানায়, ভবনটিতে চুলা থেকে বা গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, ভবনটিতে নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। মাত্র একটি সিড়ি ও ভবনের একটি ছাড়া প্রায় প্রতিটি ফ্লোরে খাবারে দোকান থাকায় গ্যাস সিলিন্ডারগুলো রাখা ছিল অপরিকল্পিতভাবে।
ভবনটিতে ফায়ার সার্ভিসের অনুসন্ধান কাজ শেষ হতে শুক্রবার সারাদিন লেগে যেতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, “এরপরেই পুলিশকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে কিছু অংশ পুলিশকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের অনুসন্ধান টিম সেখানে বিরামহীন কাজ করছে।”
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের ওই ভবনটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে ভর্তি রয়েছে ২২ জন। তাদের প্রত্যেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং শ্বাসনালী পুড়ে গেছে বলে রাতেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন জানান।
আগুনে হতাহতের ঘটনায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেই পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ফায়ার সার্ভিস।
কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে। সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন। কমিটিতে সংশ্লিষ্ট জোনের ডিএডি, সিনিয়র স্টেশন অফিসার ও ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টরকে রাখা হয়েছে।
তদন্ত কমিটিকে মোট ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক।
ইতোমধ্যে অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া ৪৪ জনের মধ্যে থেকে ২৩ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত লাশ হস্তান্তরের এই সংখ্যা জানিান ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম হেদায়েতুল ইসলাম।
সকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে মোট ৪৪ টি লাশ পাওয়া গেছে।
“২৩টি লাশ নিহতদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল থেকে ১৫টি এবং বার্ন ইন্সটিটিউট থেকে ৮ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।”