স্ত্রী হত্যার দায়ে রিকশাচালকের ফাঁসির রায়

নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে হত্যার বিষয়টি ধরা পড়ে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 May 2023, 01:13 PM
Updated : 8 May 2023, 01:13 PM

ছয় বছর আগে ওড়না পেচিয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার এক রিকশাচালককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক মাফরোজা পারভীন সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত হাবিল বাদশা রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শুনে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ আদালতের বিশেষ কৌঁসুলি রেজাউল করিম বলেন, “দণ্ডিত নিজেই রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের জেরা ও তার নিজের পক্ষে মামলায় খালাস চেয়ে যুক্তিতর্ক শুনানি করেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানাও করা হয়েছে তাকে।”

মামলার নথিপত্র অনুযায়ী, বাদী রওশন আরা বেগমের মেয়ে দুলালী বেগমের সঙ্গে ২০১৫ সালে হাবিলের বিয়ে হয়। বাদী তার ছেলে সুমন ও জামাই-মেয়েকে নিয়ে খিলক্ষেতে বসবাস করে আসছিলেন।

বাদী ও তার মেয়ে দুলালী অন্যের বাসায় কাজ করতেন। হাবিল রিকশা চালাতেন। বিয়ের কিছুদিন পর আসামি হাবিল অটোরিকশা কেনার জন্য দুলালীর কাছে ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে বসেন।

কিন্তু তা দিতে না পারায় দুলালীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদে জড়াতেন হাবিল, চালাতেন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।

এর মধ্যে ২০১৭ সালের ২ অগাস্ট সকালে বাদী রওশন আরা ও তার ছেলে কাজে বেরিয়ে যান। সেই ‘সুযোগে’ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে দুলালীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন হাবিল। ঘটনা ধামাচাপা দিতে তিনি দুলালীর পরিবারকে বলেন, তার স্ত্রী ‘স্ট্রোক করে’ মারা গেছেন।

পরে মরদেহ শেরপুরে নিয়ে গোসল করানোর সময় দুলালীর গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে স্থানীয়রা হাবিলকে জেরা করতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৫ অগাস্ট দুলালীর মা রওশন আরা বেগম খিলক্ষেত থানায় হাবিল বাদশার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন খিলক্ষেত থানার এসআই (নিরস্ত্র) সহিদুর রহমান। মামলায় ২০ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য শুনে বিচারক এ রায় ঘোষণা করলেন।