চলতি অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট খাত থেকে কী কী করা যাবে, আর কী কী করা যাবে না, সে বিষয়ে নির্দেশনা এসেছে।
Published : 02 Jul 2023, 09:29 PM
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয় কমাতে চলতি অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ, কর্মশালা ও সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
অর্থ বিভাগ রোববার এক পরিপত্রে চলতি অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট খাত থেকে কী কী করা যাবে, আর কী কী করা যাবে না, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সব প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ, সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে।
তবে অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় কিছু ক্ষেত্রে সীমিত আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।
পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় বা কোনো দেশের দেওয়া স্কলারশিপ, ফেলোশিপের আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্স অধ্যায়ন।
বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান বা উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বৈদেশিক প্রশিক্ষণ।
সরবরাহকারী, ঠিকাদার, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তা কর্তৃক সেবা বা পণ্যের গুনগত মান নিরীক্ষা বা পরিদর্শন।
পরিচালন বাজেটের আওতায় যেসব ব্যয় কমাতে হবে
বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।
পেট্রোল, অয়েল ও লুব্রিকেন্ট এবং গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।
আবাসিক ভবন এবং অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে।
মোটরযান, জলযান, আকাশযান খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে ১০ বছরের বেশি পুরোনো মোটরযান প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে।
ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে।
উন্নয়ন বাজেটের আওতায় যেসব ব্যয় কমাতে হবে
বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ কৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।
পেট্রোল, অয়েল ও লুব্রিকেন্ট এবং গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।
সকল প্রকার যানবাহন ক্রয় (মোটরযান, জলযান, আকাশযান) বন্ধ থাকবে।
ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সকল আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালন করে অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে।পরিপত্রে বলা হয়েছে, পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় পরিপত্রে নির্দিষ্ট করে দেওয়া খাতের বরাদ্দ করা অর্থ অন্য কোনো খাতে এবং অন্য কোনো খাত থেকে এসব খাতে পুনঃউপযোজন করা যাবে না।
চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্র সাধানের লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে কতিপয় খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয়ে সরকার এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে পরিপত্রে বলা হয়েছে।