মশা মারতে ডিএসসিসির বরাদ্দ ৪৭ কোটি টাকা

পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।

ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যে চলতি অর্থবছরের বাজেটে মশা নিধনে ৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

মশা নিধনে ব্যবহৃত কীটনাশক ও যন্ত্রপাতি কেনা ও পরিবহনে এই টাকা ব্যয় করা হবে। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের সংশোধিত বরাদ্দের চেয়ে ১৬ কোটি টাকা বেশি।

এছাড়া পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে এবার বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।

সোমবার নগর ভবনে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বরাদ্দের এ বিষয়টি জানানো হয়।

ডিএসসিসির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

এই অর্থবছরে ৬ হাজার ৭৫১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে ডিএসসিসি। তার মধ্যে মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনায় ৪৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

মশা নিধনে কীটনাশক কেনায় ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা; ফগার, হুইল, স্প্রে মেশিন পরিবহনে আর ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা; যন্ত্রপাতি কেনায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মশা নিয়ন্ত্রণে ৩০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। তবে সংশোধিত বাজেটে সেই বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ কোটি ১০ লাখ টাকা।

ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া রোগের বাহক হল মশা। এখন যে ডেঙ্গুজ্বর ঢাকায় আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে, তার বাহক হল এইডিস মশা। এই মশা চিকুনগুনিয়ারও বাহক। ম্যালেরিয়া ছড়ায় অ্যানোফিলিস মশা।

সংবাদ সম্মেলেন মেয়র তাপস বলেন, “ঢাকাবাসীর জীবনযাত্রায় মশক বিশেষত এইডিস মশার বিস্তার অন্যতম এক প্রতিবন্ধকতা। তাই দায়িত্বভার গ্রহণের পর মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনায় আমরা আমূল পরিবর্তন এনেছি। শুরু করা হয়েছে বছরব্যাপী সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম। নতুন এই কার্যক্রমের আওতায় পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ, মানসম্পন্ন কীটনাশক ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি জন্য ও মাঠ পর্যায়ে সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।”

এদিকে খাল, জলাশয়, নর্দমা ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে এবারের বাজেটে ডিএসসিসি বরাদ্দ রেখেছে ৩০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে এ খাতে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও ব্যয় বেড়ে হয় ২৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

মেয়র জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬ হাজার ৭৫১ কোটি টাকার বাজেট প্রাক্কলন করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১ হাজার ৩১.৯৭ কোটি টাকা।

স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষগুলো এখনও সরকারের বরাদ্দের উপর নির্ভরশীল। তবে তাদের নিজের আয় বাড়াতে আহ্বান জানিয়ে আসছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

বাজেট ঘোষণার অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর, করপোরেশনের বিভাগীয় প্রধান এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।