ঢাকার পূর্ব ভাটারা থেকে এক পলিটেকনিক ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে।
একই ঘর থেকে একটি চিরকুট পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। স্বজন ও পুলিশের ধারণা, হাসিবুল হাসান শান্ত (২২) নামে ওই তরুণ আত্মহত্যা করেছেন।
শান্ত বেসরকারি তাজ পলিটেকনিক কলেজের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবা ইলেকট্রিক ঠিকাদার আবুল খায়ের পরিবার নিয়ে পূর্ব ভাটারা এলাকায় থাকেন।
ভাটারা থানার এসআই গোলাম মোস্তফা জানান, বৃহস্পতিবার রাতের কোনো সময়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে। শুক্রবার সংবাদ পেয়ে ওই বাসায় গিয়ে পুলিশ ফ্যানের সঙ্গে চাদর পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় শান্তর লাশ উদ্ধার করে। নিহতের ঘর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে।
বড় ভাই এবি কাইয়ুম মনে করছেন, বিষণ্নতা থেকে শান্ত আত্মহত্যা করেছেন।
ঘরে পাওয়া চিরকুটে শান্ত লিখেছেন, “বাবা আমাকে ক্ষমা করে দিও, আমি তোমার যোগ্য সন্তান হতে পারলাম না। জীবনে বার বার ব্যর্থ হচ্ছিলাম ….. আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।”
কাইয়ুম বলছেন, ২০০৬ সালে শান্তর মা মারা গেলে বাবা আরেকটি বিয়ে করেন। এই নিয়ে তাদের পরিবারের মধ্যেই মনোমালিন্য চলছিল। তিনি (কাইয়ুম) আলাদা থাকছিলেন, ভাইকেও সঙ্গে নিতে চেয়েছিলেন। তবে বাবাকে ফেলে শান্ত যেতে চাননি, আবার ওই বাড়িতেও খুব ভালো ছিলেন না।