মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের পরদিন নিখোঁজ থাকা অপর শিক্ষার্থীরও মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
ঘটনাস্থল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে টেউটিয়া জেলে পাড়া এলাকায় শনিবার দুপুরে তার মরদেহ পাওয়ার কথা জানান কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রহমান।
বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ওই ছাত্রের নাম নূরুল হক নাফি (২৪)। তিনি ঢাকার ভাটারা থানা এলাকার বাসিন্দা।
কোস্টগার্ড কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, ৯৯৯-এ শুক্রবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে ফোন পেয়ে দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার খবর পান তারা। এরপর তাদের ছয়জনের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সব্যসাচী সোম্য (২৯) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে।
সব্যসাচী সোম্যর বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার সাজন গ্রামে। থাকতেন ঢাকার তেজগাঁওয়ের তেজকুনিপাড়া এলাকায়।
কোস্টগার্ড একজনের মরদেহ উদ্ধার করলেও নিখোঁজ থাকা নাফিকে উদ্ধারে তাদের তল্লাশি চলছিল। পরবর্তীতে শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল আউয়াল জানিয়েছিলেন, চার ছাত্র ও তাদের গাড়িচালক স্পিডবোটে করে পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের পাশের চরে বেড়াতে যান। এরপর নদীতে গোসলে নামলে তাদের দুজন নিখোঁজ হয়েছিলেন।
মারা যাওয়া দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ পদ্মা সেতু উত্তর থানায় হস্তান্তর করার কথা জানিয়েছে কোস্টগার্ড।