বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পানিদূষণ, প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণ এবং পাহাড় কাটা বন্ধে কাজ করার কথা বলেছেন নতুন পরিবেশ মন্ত্রী।
Published : 14 Jan 2024, 05:19 PM
বিতর্ক এড়িয়ে কাজ করতে চান নতুন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। বলেছেন, তার কাছে কোনো ধরনের তদবির গ্রহণযোগ্য হবে না।
মন্ত্রী হিসেবে শপথের তিন দিন পর প্রথম কর্মদিবস রোববার সচিবালয়ে সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সাবের বলেন, “মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা হবে। দায়িত্ব পালনে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করা বা তদবির গ্রহণযোগ্য হবে না। গণমাধ্যমকেও সার্বিক সহায়তা করা হবে।”
পরিবেশ দূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব।”
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি সাবের কাজ করছেন পরিবেশ নিয়েও। গত বছরের ১২ জুন তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ পান। একাদশ সংসদে তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন।
মন্ত্রিসভায় তিনি আগেও এসেছিলেন। ১৯৯৬ সালে ঢাকার খিলগাঁও-সবুজবাগ নিয়ে গঠিত সে সময়ের ঢাকা-৬ আসনে জয় পাওয়ার পর তাকে প্রথমে নৌপরিবহন এবং পরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী করা হয়। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর তিন মেয়াদে তাকে কোনো মন্ত্রণালয় দেওয়া হয়নি।
এবার পরিবেশ মন্ত্রী হওয়ার পর সাংবাদিকদেরকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তন খাতে আন্তর্জাতিক তহবিল পাওয়ার চেষ্টায় মন দেওয়ার কথা বলেছিলেন সাবেক।
দায়িত্ব গ্রহণের দিন তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক অর্থ ছাড়ের চেষ্টা করা হবে। পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে পারফরমেন্সের দিক দিয়ে ১ নম্বরে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।”
মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা তৈরির কথাও বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন, বন দখল রোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগের ঘোষণা দেন।
সাবের বলেন, “বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পানিদূষণ, প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণ এবং পাহাড় কাটা বন্ধে স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ গ্রহণ করে সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
“আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার এবং মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে।”
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।