নিয়ম অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের পরই প্রচার চালানোর সুযোগ পান প্রার্থীরা।
Published : 26 Apr 2023, 05:50 PM
সিটি করপোরেশনগুলোতে প্রচার শুরুর আগেই যারা পোস্টার লাগিয়েছেন, তা তুলে ফেলতে বলেছে নির্বাচন কমিশন।
পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর সুযোগ এখনও আসেনি। তবে তার আগেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে গাজীপুর খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী নগরী।
এই পরিস্থিতিতে যারা পোস্টার লাগিয়েছেন, তাদের নিজ খরচে প্রচারণামূলক এই সামগ্রী সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সিটি করপেরেশনসহ স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বুধবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেইট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে সেগুলো অপসারণ করার জন্যনির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
“এ লক্ষ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী থাকলে তা মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ রাত ১২টার পূর্বে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে নিজ খরচে অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিতে হবে।”
ইসির ঘোষণা অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২৫ মে, খুলনা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ১২ জুন এবং রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এরই মধ্যে স্বউদ্যোগে প্রচারণামূলক সামগ্রী সরানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, প্রতীক বরাদ্দের পরই আনুষ্ঠানিক প্রচারে যেতে পারবেন প্রার্থীরা।
তফসিল অনুযায়ী, গাজীপুরে ৯ মে, খুলনা ও বরিশালে ২৬ মে, সিলেট ও রাজশাহীতে ২ জুন প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ হবে। এরপরই প্রচারে নামতে পারবেন প্রার্থীরা।
প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করবেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। তবে তার আগে রিটার্নিং কর্মকর্তারা সম্ভাব্য প্রার্থীদের আচরণবিধি প্রতিপালনে ‘মোটিভেশনাল’ কাজ করছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার আলমগীর।
নির্বাচন কমিশনার আলমগীর জানান, প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা মাঠে ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে পারবেন। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে প্রচার চালাতে পারবেন না।