“সম্প্রতি সংঘটিত সাইক্লোন ‘মোখা’ সেটার উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত,” বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান।
Published : 17 Jul 2023, 09:41 PM
ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কমিয়ে আনে।
সোমবার কক্সবাজারের একটি হোটেলে এক কর্মশালায় বক্তারা এমন অভিমত তুলে ধরে বলেছেন, এক্ষেত্রে কমিউনিটি রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট (সিআরএ) ভূমিকা রাখতে পারে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ব্র্যাক।
এতে জানানো হয়, ব্র্যাক এর মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) আওতায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস (ডিআরআর) খাতে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে কৌশলগত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে উখিয়া উপজেলায় দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনায় সহায়ক দুটি টুলস তৈরি করেছে। এগুলো হচ্ছে- রেজিলিয়েন্স মেট্রিক্স ও ই সিআরএ।
https://instant.rimes.int/ecra এ প্ল্যাটফর্ম থেকে এখন সুবিধা নিতে পারবেন কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মানুষ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এবং রিজিওনাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টি-হ্যাজার্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম ফর আফ্রিকা অ্যান্ড এশিয়া (রাইমস) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
এতে সহযোগী ছিল ইউএসএইড, অস্ট্রেলিয়া সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা কনসোর্টিয়াম ইউনিভার্সিটি করপোরেশন ফর অ্যাটমোসফেরিক রিসার্চ (ইউসিএআর)।
কর্মশালায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, “বর্তমানে দেশে ডিজিটাল পদ্ধতি বাস্তবায়িত হওয়ার কারণে দুর্যোগের প্রস্তুতি জোরদার হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমে এসেছে। সম্প্রতি সংঘটিত সাইক্লোন ‘মোখা’ সেটার উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।”
অনুষ্ঠানে ই-সিআরএ তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি উপস্থাপনা করেন রাইমস এর দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ সাকিব ইমতিয়াজ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কর্মশালায় দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে স্থানীয় সম্প্রদায়ের মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাস পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন, কমিউনিটিতে তরুণ ও নারীদেরকে আরও বেশি সক্রিয় করা, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) আওতায় স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে আরও জোরদার করা, দুর্যোগের আগে ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলি সঠিকভাবে চিহ্নিত করা ও এটি মোকাবেলায় কৌশল প্রণয়ন করার সুপারিশ করা হয়।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র দে সরকার, কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপ পরিচালক হাসানুল আমিন, এইচসিএমপি এর প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর আব্দুল মালেক খান।