হবিগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় রাজীব নূরসহ এক দল সাংবাদিকের ওপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে আদিবাসী ছাত্র-যুব সংগঠনগুলো।
সোমবার বিকালে ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।
সাইকেলে বিশ্বভ্রমণকারী ও ভ্রমণকাহিনী লেখক রামনাথ বিশ্বাসের হবিগঞ্জের বাড়ি দখলের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে গত রোববার হামলার শিকার হন এক দল সাংবাদিক।
এদের মধ্যে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের স্পেশাল অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর রাজীব নূর ছাড়াও রয়েছেন বানিয়াচং প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের বানিয়াচং প্রতিনিধি মোশাহেদ মিয়া, হবিগঞ্জ সমাচার পত্রিকার বানিয়াচং প্রতিনিধি তৌহিদ মিয়া এবং দেশসেবা পত্রিকার বানিয়াচং প্রতিনিধি আলমগীর রেজা।
এ ঘটনায় রোববার রাতেই সাংবাদিক তৌহিদ মিয়া বাদী হয়ে ‘দখলদার’ আব্দুল ওয়াহেদ, তার ছেলে ওয়ায়েছ, ওয়ালিদ ও ওয়াসিফের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় মামলা করেন।
সমাবেশে আদিবাসী যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক টনি চিরান বলেন, “সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ, সাংবাদিকরা কলমযোদ্ধা; তারা লেখনির মাধ্যমে সমাজের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর জনগণের সামনে তুলে ধরেন, দখলদারের মুখোশ উন্মোচন করেন।
“গতকাল এক দখলদারের বিরুদ্ধে নিউজ করতে গিয়ে সাংবাদিক রাজীব নূরসহ চারজন সাংবাদিক বর্বোচিত হামলার শিকার হয়েছেন। আমরা দখলদারদের বিরুদ্ধে সবসময়ই সোচ্চার।
“তাই এই ঘটনার পর আমরা ছাত্র-যুব-জনতা বসে থাকতে পারি না। আমরা সাংবাদিক রাজীব নূরের মতো কলম যোদ্ধাদের পক্ষে কণ্ঠ সোচ্চার রাখব।”
এ সময় তিনি ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ বলেন, “সাংবাদিক রাজীব নূর দীর্ঘদিন ধরে দেশের এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে গিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করছেন। তার উপর যে হামলা হলো, এটা খুবই ন্যাক্কারজনক।
“সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হল এই ঘটনায় মামলা হওয়ার পরও এই রাষ্ট্রের পুলিশ হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে পারেনি, এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আমরা অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার কর্মী মাহফুজা হক, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিপন ত্রিপুরা, আদিবাসী যুব ফোরামের দপ্তর সম্পাদক মনিরা ত্রিপুরা, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক দীপায়ন খীসা বক্তব্য দেন।