ভাষানটেকের একটি নির্মানাধীন ভবন থেকেই ‘বিস্ফোরক সরঞ্জামসহ’ আটজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 16 Nov 2023, 03:10 PM
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ‘বিস্ফোরক সরঞ্জামসহ’ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভাষানটেক, শাহআলী ও শাহবাগ এলাকা থেকে বুধবার রাতে তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন।
এরা হলেন- মাহফুজ হোসেন মুনা (২০), মো. ইয়াছিন (১৯), মো. ফরহাদ (১৯), মো. মাহি (১৮), মো. আউলাদ হোসেন (১৮), মো. নাছিম (১৮), মো. আমজাদ আলী হোসেন (১৮), মো. তানভীর হোসেন (১৮), মো. নিজাম উদ্দিন জসিম, নূর মোহাম্মদ শিকদার (২৩), মোহাম্মদ বখতিয়ার চৌধুরী ওরফে শাহীন (২৪) ও মো. রুবেল (২০)।
এর মধ্যে আটজনকে ভাষানটেকের একটি নির্মানাধীন ভবন থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে মহিদ উদ্দিন বলেন, নিজাম উদ্দিন জসিম রূপনগর থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। অন্যরা অবরোধের কর্মসূচির সমর্থক, তবে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তারদের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মহিদ উদ্দিন।
তফসিল ঘোষণার পর ঢাকার বিভ্ন্নি এলাকায় ‘নাশকতার চেষ্টা বেড়েছে’ বলে জানিয়ে তিনি বলেন, “কয়েকটি এলাকায় ককটেল ছুড়ে মেরেছে, তবে পুলিশি তৎপরতার কারণে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা এসব বিস্ফোরক সরঞ্জামগুলো ব্যবহারের সুযোগ পেলে নাশকতার ব্যাপকতা আরও বাড়ত।”
আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ রেখে বুধবার সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি ও সমমমান দলগুলো এ তফসিল প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে রয়েছে। চলমান অবরোধের মধ্যে তফসিল ঘিরে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১২টি যানবাহন নাশকতার আগুনে পুড়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।
মহিদ উদ্দিন বলেন, “ডিএমপি সভা-সমাবেশসহ ঢাকায় বিভিন্ন কর্মসূচির বিষয়ে অনেক আন্তরিক। গত চার মাস ধরে ঢাকায় রাজনৈতিক-সামাজিকসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে ডিএমপি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এরপরেও আমাদেরকে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে।”
গ্রেপ্তারদের রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, “তাদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে। তারা সবাই অবরোধের সমর্থনে এসেছে, তবে আমরা প্রত্যেকের পদবি যাচাই-বাছাই করছি।”
ঢাকায় চার থেকে পাঁচ হাজার যানবাহন চলাচল করে এবং সেগুলো যেখানে সেখানে পার্ক করার কারণে নাশকতাকারীরা ‘সুযোগ নিচ্ছে’ মন্তব্য করেন মহিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, “অরক্ষিতভাবে অনেক জায়গায় যে গাড়িগুলো থাকে, নাশকতাকারীরা এ সুযোগটা নেয়। তবে নাশকতা যেটি করেছে, সেটা তাদের প্রচেষ্টা বা উদ্যোগের চেয়ে কম।
“চোরাগোপ্তা হামলা শতভাগ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ। আমাদের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টাই পুলিশ মোতায়েন করা থাকে। গাড়িগুলো ছড়ানো ছিটানো থাকে, আর তারা সুযোগটা নেয়। এরপরেও আমরা ১৯ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছি, এটা সহজ কাজ নয়।”