সিজিপিএর শর্ত শিথিল এবং তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তী বর্ষে যাওয়ার সুযোগ চান এই শিক্ষার্থীরা।
Published : 22 Aug 2023, 07:48 PM
টানা সাড়ে ৫ ঘণ্টা নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানোর পর কর্মসূচি থেকে সরে গেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সিজিপিএর শর্ত শিথিল এবং তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তী বর্ষে যাওয়ার (প্রমোশন) সুযোগ চেয়ে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন একদল শিক্ষার্থী।
এর মধ্যে এক দফা বৃষ্টি হয় তাদের। পুলিশও এসে সরিয়ে দেওয়ার সুযোগ করে। পরে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তারা নীলক্ষেত মোড় ত্যাগ করেন।
মাঝের এই সময়টায় তাদের অবরোধ কর্মসূচির কারণে মিরপুর রোডের সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় থেকে আজিমপুর এবং আজিমপুর থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি অভিমুখী সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে। তাতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
আইনশৃঙ্খলারক্ষী বাহিনী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের জনদুর্ভোগ না বাড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে তাদের বিষয়টি সমাধান করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাতে সম্মত হয়নি।
পরে বিকাল সোয়া ৫টায় ঢাকা কলেজের অধ্যাপক খাইরুল হোসেন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা শেষে অধ্যাপক খাইরুল সাংবাদিকদের বলেন, “শিক্ষার্থীদের এ দাবি এখন মানা সম্ভব নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালায় দুইয়ের অধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হলে তাকে প্রমোশন দেওয়ার নিয়ম নেই। আর সাত কলেজ যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকভুক্ত, তাই এ নিয়মের বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়েরও কোনো চিন্তা নেই আপাতত নিয়ম পরিবর্তন করার।”
আলোচনায় কোনো আশ্বাস না পেয়ে অবস্থান চালিয়ে যেতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যার দিকে তারা দিনের মত কর্মসূচি শেষ করার ঘোষণা দিয়ে রাস্তা ছেড়ে যান।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী ওসমান গনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আমরা আপাতত আজকে চলে যাচ্ছি। শুনেছি আমাদের দাবির বিষয়ে শিক্ষকরা মিটিং করছেন। আগামীকালের মধ্যে আমাদের দাবি না মানা হলে আমরা আবারো রাস্তায় নামব।"
তিনি বলেন, “মানোন্নয়নের মাধ্যমে প্রমোশনের সুযোগ দিতে আমরা তিন মাস ধরে আন্দোলন করছি। আমাদের আশ্বাস দিয়ে ঘোরানো হয়েছে, কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এর মধ্যে বিলম্বে ফল প্রকাশ করেছে।
“আমরা ইতিমধ্যে পরবর্তী বর্ষের প্রস্তুতি নিয়েছি এবং ইনকোর্স ও টেস্ট পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। অনেকের ফল খারাপ হয়েছে। অর্থাৎ প্রমোশনের জন্য নির্ধারিত সিজিপিএ ২ পাননি। তাই আমরা নির্ধারিত সিজিপিএর শর্ত শিথিল করে তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন চাই।"