আন্দোলনের মধ্যে দুই দফা ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের মুখে পড়ে বাংলাদেশ।
Published : 05 Aug 2024, 02:28 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সরকার পতনের অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরেছে আড়াই ঘণ্টা পর।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট ফিরে আসে।
এদিন সকাল ১১টার আগ দিয়ে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল আগের দিন রোববার দুপুরেই।
ফলে আবারও ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের কবলে পড়ে বাংলাদেশ। বিঘ্নিত হচ্ছিল ব্যাংক লেনদেনসহ ইন্টারনেটনির্ভর সব সেবা।
রোববার মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করার পাশাপাশি ফেইসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সে কারণে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও সামাজিক যোগাযোগের এ দুটো মাধ্যমে ঢুকতে পারছিলেন না ব্যবহারকারীরা।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৭ জুলাই প্রথমবার মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তা চালু হয় ২৮ জুলাই।
এর মধ্যে ১৮ থেকে ২৩ জুলাই ব্রডবান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ রাখা হয়। অর্থাৎ, ওই সময়টায় ইন্টারনেটে পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে।
পরে ইন্টারনেট খুলে দেওয়া হলেও ফেইসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম চালু হয় ৩১ জুলাই দুপুরে।
এরপর গত ২ অগাস্ট প্রায় ৭ ঘণ্টা মোবাইল ইন্টারনেটে ফেইসবুক ও টেলিগ্রাম সেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
সর্বাত্মক অসহযোগের প্রথম দিন রোববার জেলায় জেলায় সংঘাতে অন্তত ১০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ ঘোষণা করেছে সরকার।