অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উচ্চস্বরে গান-বাজনা বন্ধ করে অভিযোগগুলোর নিষ্পত্তি করে।
Published : 01 Jan 2024, 02:04 PM
খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণের উদযাপনে লাউড স্পিকারে গান-বাজনা ও শব্দদূষণের ৯৭১টি ফোন পেয়েছে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’।
এর মধ্যে শুধু ঢাকা মহানগর এলাকা থেকেই ২৩৭টি ফোন করে অভিযোগ জানিয়েছেন নাগরিকরা।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মিডিয়া শাখার পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেছেন, রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত তারা টেলিফোনে ৫২৬টি অভিযোগ পেয়েছেন। শুধু ঢাকা মহানগর এলাকা থেকেই ফোন করেন ১০৭ জন।
আর রাত ১২ টা থেকে সোমবার দুপুর ১২টায় পর্যন্ত শব্দদূষণ সংক্রান্ত ৪৪৫টি কল পেয়েছে ৯৯৯, যার মধ্যে শুধু ঢাকা মহানগর এলাকা থেকে ১৩০ জন ফোন করেছিলেন।
আনোয়ার সাত্তার বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উচ্চস্বরে গান-বাজনা বন্ধ করে অভিযোগগুলোর নিষ্পত্তি করে।
রাত ২টায় ঢাকার ধানমন্ডির ১৫ নম্বর সড়কের ১৩ নম্বর বাড়ি থেকে একজন ফোন করে জানান, তার পাশের বাড়ির সীমানা দেয়ালে প্লাস্টিক শিটের ওপর ফানুস পড়ে আগুন লেগে গেছে।
তবে ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার আগেই ওই ব্যক্তি ফোন করে জানান, তারা নিজেরা আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন এবং ফায়ার সার্ভিসের আর প্রয়োজন নেই।
‘থার্টি ফার্স্ট নাইটে’ আতশবাজি পোড়ানো, ফানুস ওড়ানো, উচ্চশব্দে গান বাজানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকে প্রতিবছরই। এবারও এসব বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক করেছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ।
ফানুস ও আতসবাজি থেকে অগ্নি দুর্ঘটনায় কী পরিমাণ ক্ষতি গত কয়েক বছরে হয়েছে, সেই পরিসংখ্যান জানিয়ে মানুষকে সচেতনতার বার্তা দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিসও।
তারপরও রোববার বছরের শেষ রাতে ১২টা বাজার আগে আগে থেকে ঢাকার অধিকাংশ এলাকা পটকা-বাজির শব্দে প্রকম্পিত হতে থাকে। আতশবাজির আলোয় বর্ণিল হয়ে ওঠে রাতের আকাশ। বাসাবাড়ির ছাদ ও বারান্দা থেকে উল্লাস ধ্বনিতে স্বাগত জানানো হয় নতুন বছরকে।
পুরনো খবর: