জাফরুল্লাহর মৃত্যু দেশ-জাতির ‘অপূরণীয় ক্ষতি’, বলেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী।
Published : 12 Apr 2023, 08:26 PM
বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেছেন, “জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো সাহসী সূর্য সন্তানরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মণীয় ভূমিকার পাশাপাশি দেশে ওষুধ খাত ও জনকল্যাণে ডা. জাফরুল্লাহর অবদানও স্মরণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন।
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি শোকবার্তায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
কিডনির জটিলতাসহ নানা রোগে আক্রান্ত জাফরুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলবার মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
ডা. জাফরউল্লাহ একাত্তরে যুক্তরাজ্যে উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার সময় দেশের টানে ফিরে এসে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আগরতলার মেলাঘরে গড়ে তুলেছিলেন ফিল্ড হাসপাতাল।
তার ধারাবাহিকতায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন তিনি, যা দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সেবা পেতে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়নেও তার ভূমিকা ছিল।
সামাজিক নানা সঙ্কটের পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনেও নানা ভূমিকা রেখে গেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
অপূরণীয় ক্ষতি: বি চৌধুরী
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চলে যাওয়া দেশ-জাতির ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ হয়েছে মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, “গরিব মানুষের ডাক্তারখ্যাত জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন আমার একজন প্রিয় সহকর্মী। তার দেশপ্রেম তাকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তার এই চলে যাওয়া রাজনৈতিক, সামাজিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।”
বিকল্পধারার সভাপতি বি চৌধুরী আরও বলেন, “জাফরুল্লাহ চৌধুরী রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে আমার বহু বছরের সঙ্গী ছিলেন। আমার চেয়ে বয়সে নবীন জাফরুল্লাহর জীবন ও কর্মকাণ্ডকে আমি সবসময় শ্রদ্ধা করেছি। বিনয়ী ও নম্র মানুষ হলেও তিনি ছিলেন গণমানুষের অধিকার আদায়ের দাবিতে সোচ্চার একজন সংগ্রামী মানুষ।
“সামাজিক, রাজনৈতিক আন্দোলনে পুরোধা ব্যক্তিত্ব এই মানুষটির অবদান চিরঞ্জীব ও অম্লান হয়ে থাকবে।”
ডা. জাফরুল্লাহর সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে ডা. বি চৌধুরী বলেন, “ডা. জাফরুল্লাহ অত্যন্ত মিত আহারি ছিলেন। আমাদের বাসায় যখনই কোনো রাজনৈতিক মিটিং হত, আমার স্ত্রী তার জন্য কিছু খাবারের ব্যবস্থা রাখতেন। তবে তিনি সবার চাইতে কম খেতেন।
“মাঝে মধ্যে আমার স্ত্রী তাকে বলতেন- এত কম খেয়ে বেশি বেশি কাজ করেন কীভাবে?”
“বাংলাদেশ ডা. জাফরুল্লাহর মতো ত্যাগী মানুষের অপেক্ষায় থাকবে,” বলেন তিনি।