মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
Published : 30 Apr 2024, 08:16 PM
বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই যে সরকারের লক্ষ্য, সে কথা আবারও বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেন।
আলোচনা শেষে মুখ্য সচিব বলেন, “রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা স্থানীয় সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ রোহিঙ্গাদের আত্মনির্ভরশীলতার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করার বিষয়টি বলেছেন। রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনাররা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছেন।”
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশে অস্থায়ী ভিত্তিতে আশ্রয়গ্রহণকারী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন, স্থানীয় সম্প্রদায়ের ওপর বিরূপ প্রভাব ও তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা ও তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, “রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা বাংলাদেশ সরকারের প্রধান লক্ষ্য।”
এ বিষয়ে দ্রুত এবং স্থায়ী সমাধানে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো ভূমিকা পালনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, “প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার কারণে রোহিঙ্গাদের মাঝে বিরাজমান হতাশা তাদের আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে পারে। যা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।
“মানবিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশে যেসব শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তা তাদের প্রত্যাবাসনের পরে রাখাইনে টেকসই সহাবস্থানে সহায়ক হবে।”
তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ও আগ্রহ নিয়ে কাজ করার জন্য রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনার এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিকে ধন্যবাদ জানান।
কানাডা ও জাপানের রাষ্ট্রদূত, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, ও অস্ট্রেলিয়ার উপ রাষ্ট্রদূত, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ডেলিগেশনের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রিজিওনাল রিফিউজি কো-অর্ডিনেটর আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ইউএনসিএইচআরের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ, ইউএনআরসির হেড অব অর্গানাইজেশন ও ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।