“কোনো ট্রেন বাতিল হয়নি, কিছু ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হয়েছে” বলেন তিনি।
Published : 25 Oct 2024, 10:24 AM
ঢাকার কমলাপুর স্টেশন এলাকায় বৃহস্পতিবার গভীররাতে যে আন্তঃনগর ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছিল, সেই ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ উদ্ধার হয়েছে শুক্রবার সকালে। তাতে দিনের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে ২ ঘণ্টা বিলম্বে।
এই ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দিনের শেষ ট্রেন ছিল বলে জানান ঢাকা বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আরিফ মহিউদ্দিন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে কমলাপুর থেকে ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’র ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়। ওই সময় ট্রেনটি খুব ধীর গতিতে থাকায় যাত্রী হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। দীর্ঘ ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ট্রেনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ফেইসবুকে বিভিন্ন রেলওয়ে গ্রুপে ট্রেন চলাচলে বিলম্ব ও ট্রেন বাতিলের হওয়ার কথা বলছিলেন অনেকেই। তবে ডিআরএম আরিফ মহিউদ্দিন বলছেন, কোনো ট্রেন বাতিল হয়নি। কিছু ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হয়েছে।
তিনি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় বলেন, “সময়সূচি অনুযায়ী কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার শেষ ট্রেন ছিল পঞ্চগড় এক্সপ্রেস। এরপর শুক্রবার সকাল ৬টায় পরের ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
“কিন্তু শুক্রবার সকাল ৬টার পরিবর্তে সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়া হয়। প্রথমে ছেড়ে গেছে এগারসিন্দুর প্রভাতী এক্সপ্রেস, এরপর সোনার বাংলা ছেড়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে তিস্তাও ছেড়ে যাবে।”
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিআরএম বলেন, “এই ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে।”
ঢাকা রেলওয়ে থানার ডিউটি অফিসার জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ লাইনচ্যুত হয়।
ট্রেন যাত্রী আতাউল্লাহ জানান, তারা তিন বন্ধু পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেছিলেন। ভোররাত পর্যন্ত বসে থেকে কোনো আশা না পেয়ে সকালে তিনি বাসায় ফিরেছেন।
আতাউল্লাহ বলেন, কমলাপুর থেকে ছাড়ার ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রেনটি কয়েকটি ভাগে লাইন থেকে নিচে পড়ে যায়। ট্রেনের গতি তখন অনেক কম ছিল, হঠাৎ তীব্র ধাতব ঘর্ষণের শব্দ খাওয়ার পর ট্রেনটি থেমে যায়।