বাংলাদেশে আসার পর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বসল ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল।
Published : 18 Jul 2023, 09:25 PM
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে বাংলাদেশের ভোটের পদ্ধতির আদ্যোপান্ত জেনে নিল সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচনী কারিগরি ও আইনি দল।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংবিধান, আইন, বিধি, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগ, মনোনয়নপত্র বাছাই, নির্বাচনী আইনি ঝামেলা, সবশেষ আইন সংশোধনীর বিষয়ে জেনেছেন তারা।
মঙ্গলবার বিকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিন ঘণ্টা ধরে এই বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধি দলকে সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা।
এটি দুই পক্ষের দ্বিতীয় বৈঠক। বাংলাদেশে আসার পর গত ১১ জুলাই প্রথম বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের সব ধরনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সম্পর্কে জেনে নেয় ইইউ প্রতিনিধিরা।
দ্বিতী দফা এই বৈঠকে ইসি সচিবালয়ের আইন শাখার যুগ্ম সচিব মো. মাহবুবার রহমান সরকারের নেতৃত্বে নির্বাচন পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্মসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান ও আব্দুল বাতেন উপস্থিত ছিলেন।
ইইউর ইলেকটোরাল/পলিটিক্যাল এক্সপার্ট (এক্সটার্নাল কনসাল্টেন্ট) দিমিত্রা ইওয়ানোর নেতৃত্বে চার জন এ বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে ইসির যুগ্মসচিব মাহবুবার রহমান বলেন, “আমাদের নির্বাচন পদ্ধতি, আইন-কানুনের কী অবস্থা, বিদেশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক, দেশি পর্যবেক্ষকরা কীভাবে কাজ করবেন সেসব বিষয়ে তাদের কিছু জানার ছিল।
“বাংলায় আইন আমাদের, সে বিষয়ে অনেক কিছু জানেন না তারা। যেসব প্রশ্ন ছিল আমরা ইসি সচিবালয়ের পক্ষ থেকে তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”
তিনি বলেন, “সংবিধান, আরপিও থেকে শুরু করে নতুন সংশোধনী যেগুলো আছে, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসতে গেলে কোন প্রক্রিয়ায় আসতে হবে, কতদিন-কীভাবে আসতে হবে, ইকুইপমেন্ট যদি লাগে কীভাবে নিয়ে আসবেন, নির্বাচন বিষয়ক আরও যা কিছু আছে খুঁটিনাটি সব জানতে চেয়েছেন।”
আরপিওর সাম্প্রতিক সংশোধনী নিয়ে ইইউ দল কোনো উদ্বেগ দেখিয়েছে কি না- এই প্রশ্নে ইসির যুগ্মসচিব বলেন, “এখানে উদ্বেগের কিছু না। উনারা জানতে চেয়েছেন কিছু বিষয়।…আমাদের আইন, বিধি-বিধান, নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ধারণা নিয়েছেন।”
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “প্রতিনিধি দল টেকনিক্যাল কোনো সাপোর্ট দেবেন এমন কিছু কথা বলেননি। তাদের কাজের জন্য কী সাপোর্ট দেওয়া যাবে সেটা জানতে চেয়েছেন।
“মনে করুন- অবজারভাররা আসবেন, দুই মাস আগে যদি আসেন তাদের পাসপোর্টের বিষয় থাকে। এয়ারপোর্টে সাপোর্টের বিষয় থাকবে। ইকুইপমেন্ট লাগলে কোথায়, কীভাবে নিয়ে আসবেন, এসব বিষয়ে ইসি থেকে কী ও কতটুকু সহযোগিতা করবো এসব বিষয় জেনেছেন।”
এক প্রশ্নের জবাবে ইসির যুগ্মসচিব বলেন, “আমাদের এখানে আইনি বিরোধ হলে কীভাবে নিষ্পত্তি হয়, মনোনয়নপত্র কীভাবে জমা হয়, বাছাই কীভাবে হয়, প্রক্রিয়াগুলো জানার চেষ্টা করেছেন।
“উনারা সারাবিশ্বে নির্বাচন দেখে বেড়ান। কাল ইথিওপিয়ায় নির্বাচন দেখেছেন, সেখোনে এক ধরনের; আজ এখানে বাংলাদেশে এক ধরনের পদ্ধতি। সেটা তো উনাদের জানার কথা নয়।”
সময়ে সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে পরে আরও যোগাযোগ হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনের এই কর্মকর্তা।