“এই মুহূর্তে বিমানবন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আটকে থাকা কিছু ফ্লাইট ডিলে হয়েছে।”
Published : 06 Aug 2024, 01:14 AM
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফ্লাইট ওঠা-নামা শুরু হয়েছে এবং আটকে থাকা কিছু ফ্লাইট বিলম্বে ছাড়ছে।
রাত সোয়া ১২টায় শাহজালালের কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি প্রান্ত ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এমন তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে বিমানবন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আটকে থাকা কিছু ফ্লাইট ডিলে হয়েছে।”
বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলার জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, “রাত ১১টার পর থেকেই আমাদের আটকে থাকা ফ্লাইটগুলো ওঠা-নামা করতে শুরু করেছে বলে জানতে পেরেছি।”
এর আগে বিকাল ৫টার দিকে বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা আসে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলামের তরফ থেকে।
এরপর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও ৬ ঘণ্টা বিমানবন্দর বন্ধ থাকার বিষয়টি জানানো হয়।
জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের একদফায়। অসহযোগের পর ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিন সোমবার দুপুরে পতন হয় শেখ হাসিনার ।
এরপর সেনা সদরে রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সেনাপ্রধান জেনারেরল ওয়াকার-উজ-জামান। বৈঠক শেষে জনগণের উদ্দেশে কথা বলার সময় তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগের কথা জানিয়ে বলেন, শিগগিরই অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে।
এ দিন দুপুর থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে উচ্ছসিত জনতা রাস্তায় নেমে মিছিল করে। শেখ হাসিনাবিরোধী স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয় ঢাকা। ‘গুলি খাইছি কী হইছে, শেখ হাসিনা পালাইছে’- এমনসব স্লোগান দেয় উত্তাল ছাত্র-জনতা। পুরো ঢাকা জনতার দখলে চলে যায়।
শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ ভবন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার, ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে ছাত্র-জনতা। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় বিজয় স্মরণিতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যসহ আরও অনেক স্থাপনায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা কী হবে, তা নিয়ে বঙ্গভবনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
দ্রুতই অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।