“বাংলাদেশে যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তখনই হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নাগরিকরা বিপদে পড়েন, সবসময় আতংকে থাকেন,” অভিযোগ করেন তিনি।
Published : 05 Dec 2024, 08:39 PM
দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যাবতীয় হামলা-ভাঙচুর ও নিপীড়নের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর দায় চাপালেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার।
তার অভিযোগ, ক্ষমতার জন্য আওয়ামী লীগ একদিকে ‘দিল্লির স্তুতি গায়’, অপরদিকে তারা দেশে ‘হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চালায়’। দেশে মন্দির ভাঙচুরসহ সংখ্যালঘু নির্যাতনের ‘সব ঘটনা তারা করেছে’। কিন্তু দায় চাপিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের ওপর।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে কল্যাণ ফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন বিজন কান্তি।
তার অভিযোগ, “বাংলাদেশে যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনই হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নাগরিকরা বিপদে পড়েন, সর্বক্ষণ আতংকিত থাকেন। নানা আকারে-প্রকারে নির্যাতিত-লাঞ্চিত হন।
“অন্যান্য সরকারের সময়েই হিন্দু জনগণ শান্তিতে জীবন কাটিয়েছে। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ও সমঅধিকার নিয়ে বসবাস করছে।”
স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগের সময়েই হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু বেশি নির্যাতিত হয়েছে বলে দাবি করেন কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান। এসব ঘটনার তারা বিচারও করেনি বলে অভিযোগ তার।
বিজন কান্তির ভাষ্য, “স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭২-৭৪ এবং গত ১৬ বছরে আওয়ামী শাসনামলে বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুরা এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে ভিন্নমতাবলম্বী মুসলিমরা পর্যন্ত নানাভাবে নির্যাতিত, নিগৃহীত হয়েছে। শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার নিজ দলের কর্মী-সন্ত্রাসী ছাড়া আর কাউকেই রেহাই দেয়নি।
“আওয়ামী সরকার ক্ষমতার জন্য দিল্লি তোষণ করে, আর অপরদিকে দেশে হিন্দু নির্যাতন চালায়। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভিন্নমতের মুসলিম জনগোষ্ঠীর সম্পত্তি, দেবোত্তর সম্পত্তির অধিকাংশ আওয়ামী কর্মীদের অবৈধ দখলে। মন্দির ভাংচুর, নারী নির্যাতনে নেতৃত্বে ছিল ৯৮ শতাংশ আওয়ামী নেতাকর্মী। বাংলাদেশে যত মন্দির পোড়ানো হয়েছে, তার ১০০ ভাগ পুড়িয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।”
‘আওয়ামী সংসদ সদস্যদের নেতৃত্বে ও ইন্ধনে’ হিন্দু বাড়ি-ঘর পোড়ানোর পর সেসব ঘটনায় জামায়াত-বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচার চালায় অভিযোগ তার।
গণআন্দোলনে ক্ষমতার পালাবদলের পর ভারতের সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। ভারতীয় জনগণ, সংবাদমাধ্যম ও দিল্লি সরকারের প্রতি প্রকৃত বন্ধুকে চিনে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।