Published : 25 Sep 2024, 04:22 PM
সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তার সহকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে তার কফিন আসার পর বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও তার জানাজায় অংশ নেন সহস্রাধিক মানুষ।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পান্থপথে বিআরবি হাসপাতালে মারা যান ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতা, উচ্চ ডায়াবেটিক, ব্যাক পেইন, লবণ ঘাটতিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রয়াত সাংবাদিকের কফিন চাঁদপুরে গ্রামের বাড়িতে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
এতে অংশ নেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরাফত আলী সপু, শামীমুর রহমান শামীম, জামায়াতে ইসলামীর মিয়া গোলাম পরওয়ার, মজিবুর রহমান, শামসুল ইসাম, আবদুল হালিম, নুরুল ইসলাম বুলবুল, সেলিম উদ্দিন, মোবারক হোসেইন, আবদুর রব, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান।
সাংবাদিকদের মধ্যে জানাজায় অংশ নেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, শওকত মাহমুদ, সাইফুল আলম, এম এ আজিজ, আবদুল হাই শিকদার, আবদুল জলিল ভুঁইয়া, আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া, কামাল উদ্দিন সবুজ, আবদুল হাই সিদ্দিকী, এম আবদুল্লাহ, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, বাকের হোসাইন, নুরুউদ্দিন নুরু, ইলিয়াস খান, কে এম মহসিন, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, রফিকুল ইসলাম আজাদ, ইলিয়াস হোসেন, কাজী রওনুকুল হোসেন, শাহেদ চৌধুরী, সাহাবুদ্দিন চৌধুরী, মুরসালিন নোমানী, শামসুদ্দিন দিদার, রাশেদুল হক, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন দুই অংশের ওমর ফারুক, ওবায়দুর রহমান শাহিন, বাছির জামাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের শহিদুল ইসলাম, খুরশীদ আলম, সোহেল হায়দার চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের হাসান হাফিজ, আইয়ুব ভুঁইয়া, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মহিউদ্দিন আহমেদ।
জানাজার আগে রুহুল আমিন গাজীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বিএনপির এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর মিয়া গোলাম পরওয়ার, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের বাছির জামাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের শহিদুল ইসলাম, খুরশীদ আলম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের হাসান হাফিজ, আইয়ুব ভুঁইয়া, রুহুল আমিন গাজীর ছেলে আফনান আবরার।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়া জ্যেষ্ঠ এই সাংবাদিক দৈনিক সংগ্রামে কর্মরত ছিলেন। সেখানে বিশেষ প্রতিনিধি, চিফ রিপোর্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
চাঁদপুরের গুবিন্দিয়া গ্রামে ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণকারী রুহুল আমিন গাজী শিক্ষাজীবনে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর দৈনিক ইত্তেফাকে ১৯৭৪ সালে রিপোর্টার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
তিনি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শেখ হাসিনার সরকারের সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন টানা ১৮ মাসের বেশি সময়। কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও জামিন পাননি তিনি।
বিএনপি সমর্থিত পেশাজীবী সংগঠন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।