“যেসব নিয়োগ এখনো প্রক্রিয়াধীন আছে সেখান থেকেও তাদেরকে বাদ দেওয়া হবে, বলেন এই উপদেষ্টা।
Published : 24 Oct 2024, 10:24 PM
নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যদের সরকারি কাজে যুক্ত করা থেকে বিরত রাখার বিষয়ে তুলে ধরে চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকেও তাদের বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
‘সন্ত্রাসী সত্তা’ হিসেবে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পরদিন অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে থাকা এই উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফাইড ফেইসবুক পোস্টে এসব কথা বলেন।
নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি নিয়োগ বাণিজ্যে ঘুষ দেওয়া-নেওয়া করা থেকেও বিরত থাকার আহ্বান জানান।
ফেইসবুকে তিনি লেখেন, “নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো সদস্য প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত হতে পারবে না। যেসব নিয়োগ এখনো প্রক্রিয়াধীন আছে সেখান থেকেও তাদেরকে বাদ দেওয়া হবে। পরবর্তী সার্কুলারে শুন্যপদগুলোতে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।
“ফলে আসন্ন সার্কুলার গুলোতে সংখ্যাগত দিক থেকে অধিক সংখ্যক প্রার্থীর নিয়োগের সুযোগ তৈরী হবে। ঘুষ দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধে সরকার বদ্ধপরিকর। নিয়োগের জন্য ঘুষ দেওয়া এবং নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।”
আওয়ামী লীগ সরকার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে ‘সন্ত্রাসী’ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগকে বুধবার নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের এই ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে কোটা সংস্কার ও সরকার পতন আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতা ‘হত্যা’ ও অসংখ্য মানুষের ‘জীবন বিপন্ন’ করা এবং বিভিন্ন সময় ‘সন্ত্রাসী’ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করিল।”
প্রজ্ঞাপনে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের কারণ হিসেবে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ছাত্র সংগঠনটির বিভিন্ন সময়ের ‘সন্ত্রাসী’ কার্যকলাপের বিষয়ে তুলে ধরা হয়।
পুরনো খবর: