এজন্য প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
Published : 22 Oct 2024, 12:25 AM
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সরাসরি তদন্ত করার সুযোগ নেই মানবাধিকার কমিশনের, যে কারণে আইন শক্তিশালী করতে এ বিষয়ে সংশোধন আনার মত দিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত মানবাধিকার কমিশন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সরাসরি তদন্ত করতে পারে না; মানবাধিকার কমিশন শুধু সে বিষয়ে সরকারকে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলতে পারে। আইন শক্তিশালী করতে এ বিষয়ে সংশোধন আনা যেতে পারে।”
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ও সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন আয়োজিত কনসালটেশন উইথ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডস শীর্ষক এক সভায় কামাল উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
সভা শেষে মানবাধিকার কমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানিয়েছে।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের গুমবিরোধী সনদে গত ২৯ অগাস্ট সই করে বাংলাদেশ। সভায় এটিকে দেশের মানবাধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরেছেন কামাল উদ্দিন।
“নিঃসন্দেহে গুম হওয়া বেআইনি, নির্যাতনমূলক এবং এটি মানবাধিকারকে চরমভাবে লঙ্ঘন করে। আমরা আশা করবো সরকার দ্রুত এর অনুসমর্থন করবে এবং বিষয়টি আমাদের অভ্যন্তরীণ আইনে সম্পৃক্ত হবে।”
কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতেও মানবাধিকারকর্মীদের কাজ করতে হবে; কারণ কোনো একটি ছাড়া মানবাধিকার সংরক্ষণ সম্ভব না।
“নানা সীমাবদ্ধতা ও বাধা থাকলেও আমাদের আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রসর হতেই হবে। দেশের একজন নাগরিক প্রকৃতপক্ষেই ক্ষমতায়িত ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন এ অধিকারগুলো নিশ্চিত হলে।”
মানবাধিকার সংরক্ষণে যেসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি কাজ করছে তাদের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এগোতে এবং পরস্পরের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করার পরামর্শ দেন তিনি।