বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাদা বৈঠক হবে শেখ হাসিনার।
Published : 09 Jul 2024, 01:23 AM
চার দিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট সরকার প্রধান ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে জানিয়েছে বাসস।
বিমানবন্দরে চীন সরকারের একটি প্রতিনিধি দল শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার দেয় দেশটির সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টা ৫ মিনিটে উড়োজাহাজটি ঢাকা ছেড়ে যায়।
এই সফর দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব’ থেকে ‘কৌশলগত বিস্তৃত সহযোগিতা অংশীদারত্বে’ উন্নীত করার কথা বলছে সরকার।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বেইজিংয়ে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।
ফেরার আগের দিন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এবং দেশটির সরকার প্রধান লি কিয়াংয়ের সঙ্গে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক করবেন তিনি।
সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ২০টি থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি ও দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়ে সমঝোতা স্মারকগুলো সই হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সফরকালে দুই দেশের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনেরও ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং ২০১৬ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। সে সময় উভয় দেশ ‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’ পৌঁছার কথা বলেছিল।
শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের জুলাই মাসে সবশেষ বেইজিং সফর করেছিলেন। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময়ে চীন সফর করেছেন।
দুই দেশ আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করবে।
মঙ্গলবার এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন শেখ হাসিনার অবস্থানস্থলের সভাকক্ষে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
এরপর বেইজিংয়ের সাংগ্রি-লা সার্কেলে চীনের ওয়ার্ল্ড সামিট উইংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিকালে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ প্রধানমন্ত্রী ও কনসাল্টেটিভ পার্টির প্রেসিডেন্টের মধ্যেও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী পরে তিয়েনানমেন স্কয়ারে পিপলস হিরোদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
সন্ধ্যায় তিনি বেইজিংয়ে বাংলাদেশ হাউসে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেবেন।
বুধবার গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে।
এসময় দুই নেতার উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারকসহ বেশ কিছু নথিতে সই করা হবে।
পরে একই স্থানে চীনের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্ন ভোজসভায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
একই দিন বিকেলে চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ১১টায় বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে তার।