“আলুর মূল্য বৃদ্ধির কোনো যুক্তি নাই,” বলেন এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
Published : 07 Feb 2024, 09:09 AM
‘কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আলুর দাম বাড়ানো হয়েছে’ জানিয়ে এ বিষয়ে তদারকির ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সংস্থাটি মনে করছে এক সপ্তাহের মধ্যে রান্নার উপকরণটির দাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় নামিয়ে আনা সম্ভব।
মঙ্গলবার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের আলুর পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের নিয়ে মতবিনিময় শেষে এ কথা জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, “আলুর মূল্য বৃদ্ধির কোনো যুক্তি নাই। এখানে একটা কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। আমরা এতদিন কিছু বলিনি। দাম ৫০ টাকা ক্রস করার পর আমরা মাঠে নেমেছি। আমরা আগামীকাল থেকে আলুর বাজার মনিটরিং করব।”
তিনি বলেন, “কেজিপ্রতি ১০-১২ টাকা উৎপাদন খরচের আলু তারা ১৮-২০ টাকা খরচে কোল্ড স্টোরেজে ঢুকিয়েছে। সেই আলু বের ২৮ টাকায় বিক্রি হলে লাভ থাকে। সেখান থেকে ভোক্তা পর্যায়ে এটা সর্বোচ্চ ৩৫-৩৬ টাকা হতে পারে। কিন্তু আমরা দেখছি, এখন পাইকারি দাম হল ৪২ টাকা।
“তাহলে এখানে ১০-১২ টাকার একটা গ্যাপ আছে। আগামী এক সপ্তাহের মাঝে ৩৫-৩৬ টাকায় আলু বিক্রি সম্ভব। কারণ, আমাদের পর্যাপ্ত আলু মজুদ আছে।”
শ্যামবাজারে ব্যবসায়ীরা মোবাইলে এসএমএসে দাম ঠিক করে দেন জানিয়ে তিনি বলেন, “এটা করতে পারবেন না। পাকা ভাউচার ছাড়া বাজারে কোনো আলু আসবে না।”
বুধবার থেকে হিমাগারগুলোতে সরাসরি গিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
কেন দাম বাড়ছে
হিমাগার মালিকদের ভাষ্য, বাজারে অন্য সবজির ঘাটতি আছে, তাই ব্যবসায়ীরা আলুর দামটা বাড়িয়ে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা বাবু বলেন, ‘এ বছর কোনো এক কারণে আলু আগাম বের হয়েছে। সাধারণত জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে স্টোরেজ থেকে আলু বের হয়। কিন্তু এ বছর মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে।”
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাসরিন সুলতানা বলেন, “বর্তমানে হিমাগারে ২৪ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন আলু রয়েছে। সে হিসেবে দেশে আলুর সংকট থাকার কথা না, দাম বৃদ্ধিরও কোনো কারণ নাই। তারপরও কেন বাড়ছে, তা বোঝার জন্য আমরা বাজার মনিটরিং করছি।"
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (মনিটরিং ও বাস্তবায়ন) আশরাফ উদ্দিন বলেন, “…যা উৎপাদন হয়েছে, তাতে আলুর সংকট থাকার কথা না। আমরা বুঝতে পারছি না গ্যাপটা কোথায় বা নৈতিকতার কোনো ঝামেলা আছে কি না।”
ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান বলেন, “চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে। আমরা রপ্তানিও বেশি করিনি। নতুন করে কোনো কোনো খরচ নাই যে প্রতিদিন এক টাকা করে মূল্য বৃদ্ধি হবে। এত বড় গ্যাপ হওয়ার কোনো কারণ নাই।”
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)