২০১০ সালের ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন’ রহিত করে নতুন এ আইন করা হচ্ছে।
Published : 29 Jan 2024, 03:10 AM
১৮ বছর বয়সে নয়, এখন থেকে জন্মের পরই নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি দেওয়ার বিধান রেখে সংসদে পাস হল জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিল, ২০২৩।
এই বিলে জাতীয় পরিচয়পত্রর সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের অধীনে একটি নিবন্ধকের আওতায় নেওয়ার কথা বলা আছে। সরকারের প্রজ্ঞাপন দিয়ে এটি কার্যকর করবে।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন।
বিলের ওপর আনা বিরোধীদলের সদস্যদের জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্র্রেরণ এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিস্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এতে বলা হয়েছে, নিবন্ধন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা, সমন্বয় ও পরিবীক্ষণের জন্য একটি সমন্বয় কমিটি থাকবে। এই কমিটির সভাপতি হবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব।
নিবন্ধক হবেন কমিটির সদস্য সচিব। নির্বাচন কমিশন ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা থাকবেন সদস্য।
২০১০ সালের ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন’ রহিত করে নতুন এ আইন করা হচ্ছে। নতুন এই আইনে শিশুর জন্মের পরই এনআইডি দেওয়ার কথা বলা আছে।
বিদ্যমান আইনটি রহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের নিকট রক্ষিত এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সংগৃহীত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সকল তথ্য–উপাত্ত নিবন্ধকের কাছে হস্তান্তরিত হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাহী বিভাগের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বিভিন্ন দেশের উদাহরণের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সুরক্ষা সেবা বিভাগ এ দায়িত্ব পালনে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বিবেচিত বিধায় সুরক্ষা সেবা বিভাগের মাধ্যমে এ সেবাটি জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে বর্তমান আইনটি সংশোধন করা প্রয়োজন।”
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ প্রণয়নের উদ্যোগকে ‘সময়োপযোগী’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটি প্রত্যেক নাগরিককে নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে নিবন্ধিত হওয়ার এবং এর ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।”
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)