এই মামলার তদন্তভার গেছে ডিবির হাতে।
Published : 03 Nov 2022, 04:29 PM
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের উপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার ১১ বিএনপিকর্মীকে দুই দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশের আবেদনে ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী বৃহস্পতিবার রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সুমিত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসাইন খান এবং কলাবাগান শাখা ছাত্রদলের সদস্য মো. রবিন খান ও মো. সাগর, জসিম উদ্দিন, হারুন অর রশিদ, মতিউর রহমান নিরব, শামিম রহমান, জামাল হোসেন, আরিফুল ইসলাম ও আবু তাহের।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার এসআই মনজুরুল হাসান খান আসামিদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের জন্য রিমান্ডে চেয়েছিলেন।
অন্যদিকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে আসামিদের জামিনের আবেদন করেন ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী।
গাড়িতে হামলার বিষয়ে যা বললেন বিচারপতি মানিক
শুনানি শুরু হয় তদন্ত কর্মকর্তা মনজুরুলের বক্তব্য দিয়ে। তখন বিচারক বলেন, এই মামলার তদন্তভার তো গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে চলে গেছে।
এরপর বিচারক তার খাসকামরায় চলে যান। কিছুক্ষণ পর নতুন তদন্ত কর্মকর্তা এসে রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।
এরপর শুনানিতে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, হামলার কোনো ঘটনা আদৌ ঘটেনি। আর বুধবার বিএনপির সমাবেশেও আসামিরা উপস্থিত ছিলেন না।
ওমর ফারুক বলেন, “সমাবেশে এমন ভিড় ছিল যে কী করে সেখানে কোনো গাড়ি ঢুকতে পারে। এটা অলীক, উদ্দেশ্যমূলক কল্পকাহিনী। দোষ তাদের (আসামি) একটাই, তারা বিএনপিপন্থি।”
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে দুই দিন রিমান্ডের আদেশ দেন।
বুধবার নয়া পল্টন এলাকা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় হামলার মুখে পড়েন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এ ঘটনায় তার দেহরক্ষী রফিকুল ইসলাম পল্টন থানায় মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতনামা অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।