বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন গত পাঁচ দশকে অংশীদারিত্বের ধারাবাহিকতায় এ দেশে ‘অবাধ, নিরপেক্ষ ও সবার জন্য উন্মুক্ত নির্বাচন’ আয়োজনে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতির কথা বলেছেন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের এসময়ে বাংলাদেশের গর্বিত হওয়ার অনেক কারণ। দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতি, উঠতি শিক্ষিত শ্রমশক্তি ও গতিশীল যুব সমাজ নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে আঞ্চলিক নেত্বত্বে উঠে আসছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সঙ্গে গত পাঁচ দশকের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যেসব অর্জন এসেছে তাতে যুক্তরাষ্ট্রও গর্বিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকীতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে রোববার ওই বিবৃতি দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এতে সাম্প্রতিক সময়ে উভয় দেশের একসঙ্গে কাজ করার সফলতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “অতি সম্প্রতি, কোভিড ১৯ মোকাবিলা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রসারে আমরা সত্যিকারের অগ্রগতি লাভ করেছি।“
অংশীদারিত্বে এ ধারাবাহিকতায় নির্বাচনে সহযোগিতা করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সবার জন্য উন্মুক্ত নির্বাচনে সহায়তার জন্য আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”
উন্নয়নশীল, স্থিতিশীল ও অগ্রসর সমাজের নির্দেশক হিসেবে পরিচিত ‘গণতান্ত্রিক রীতি, সুশাসন, মানবাধিকার ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার’ ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে বাংলাদেশ তার মহৎ সম্ভাবনাগুলোও অর্জন করবে বলে বিশ্বাস মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
তিনি বলেন, “বর্তমান সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতার কারণে আমেরিকান এবং বাংলাদেশিদের বন্ধন শক্তিশালী। সামনের দিনগুলোতে আমাদের অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করতে চাই।”
ব্লিংকেন বলেন, “আন্তরিকতার সঙ্গে জেনোসাইড থেকে পালানো রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানিয়ে আপনারা বিপদাপন্ন শরণার্থীদের প্রতি মানবিক অঙ্গীকারের প্রকাশ ঘটিয়েছেন।”
জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় অভিযোজনে কৌশলের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু সহনশীলতা জোরদারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দেখিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।