বিকালের ভাগে বৃষ্টি হলে কোরবানির পশু বর্জ্য অপসারণের কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে।
Published : 17 Jun 2024, 12:13 PM
ঈদের সকালে রাজধানীতে বৃষ্টি বাধা হয়নি, নামাজ শেষে গরু-ছাগল জবাই, আর রান্না-খাওয়ায় উৎসবের আমেজে ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন মুসলমানরা।
রাজধানীতে ঈদের প্রধান জামাত হয় সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য আর বিচারপতিসহ সর্বস্তরের মানুষ সেখানে ঈদের নামাজের পর দেশবাসীর কল্যাণ কামনায় মোনাজাতে হাত তোলেন। পাড়া-মহল্লার বেশিরভাগ মসজিদে ঈদের নামজ হয় সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে।
আবহাওয়া অফিস বলেছিল, আষাঢ়ের শুরুতে এই সময়ে ঢাকায় কোরবানি ঈদের সকালটা মেঘাচ্ছন্ন থাকবে, হয়েছেও তাই।
দিনের যে কোনো সময় ঢাকায় হালকা বৃষ্টিরও পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অফিস, তবে সকালে ঈদের নামাজের সময় বৃষ্টির বিড়ম্বনা পোহাতে হয়নি। নামাজ শেষে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন পশু কোরবানির তোড়জোড়ে।
পরিবেশ দূষণ এড়াতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন আগে পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করে দিলেও এবার সে ব্যবস্থা রাখা হয়নি। বরাবরের মতই নগরজুড়ে রাস্তা ও অলিগলিতে পশু জবাইয়ের দৃশ্য দেখা গেছে।
দুই সিটি করপোরেশনের ধারণা, এবার ঈদে ঢাকায় সাড়ে ১২ লাখের মত পশু জবাই হতে পারে। জবাই করা পশু এবং কোরবানির হাট মিলিয়ে বর্জ্য তৈরি হবে ৩৯ হাজার মেট্রিক টনের মত।
কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুত সময়ে অপসারণে নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
উত্তর সিটি ছয় ঘণ্টার মধ্যে এবং দক্ষিণ সিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শহর পরিচ্ছন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে।
কোরবানির পশু জবাইয়ের স্থান পরিচ্ছন্ন করতে বিশেষ পলিব্যাগ, ব্লিচিং পাউডার, স্যাভলন ব্যবহার করেছেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা।
সকালের ভাগে বৃষ্টি না হওয়ায় পশু কোরবানি ও মাংস প্রস্তুতের কাজে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে না ঠিক, তবে বিকালের ভাগে বৃষ্টি হলে কোরবানির পশু বর্জ্য অপসারণের কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে।
কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দুই সিটির নগরভবনে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। কোনো এলাকায় বর্জ্য যথাসময়ে অপসারণ না হলে উত্তর সিটির হট লাইনের নম্বর ১৬১০৬ এবং দক্ষিণ সিটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯৯০০৮৮৮ এবং ০২২২৩৩৮৬০১৪ নম্বরে ফোন করে তথ্য ও অভিযোগ জানতে পারবেন নাগরিকরা।