“সেহরি ৩ মিনিট আগেই শেষ করে এবং ফজরের আজান ৩ মিনিট পিছিয়ে মাঝে ৬ মিনিট ‘অলস সময়’ রাখা হয়েছিল, যা শরিয়তে নেই।”
Published : 27 Feb 2025, 09:06 PM
আসন্ন রোজার সেহরি ও ইফতারের সূচি ‘সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম হিসাব’ ধরেই করা হয়েছে দাবি করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলেছে, ‘এটি নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।’
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলেছে, সম্প্রতি কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তৈরি করা সময়সূচি নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। “সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি আলেম-ওলামা ও বিশেষজ্ঞদের তৈরি, তাই এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিশেষজ্ঞ কমিটিতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুল মালেকসহ প্রখ্যাত ওলামায়ে কেরাম, আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্রের প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভূগোল বিভাগের শিক্ষকও ছিলেন।
“সেহরি ও ইফতারের জন্য যুগ যুগ ধরে মানুষ প্রকৃতির উপর নির্ভর করেছে। পরে ঘড়ির ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা এসেছে। এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। প্রতিটি বিষয়ে মিনিট, সেকেন্ড, মিলি সেকেন্ড, এমনকি ন্যানো সেকেন্ডের হিসাবও বের করা সহজ হয়েছে। তাই যে সময়সূচি উন্নয়ন করা হয়েছে, তা সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম হিসাব করেই করা হয়েছে।”
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলছে, “প্রায় ৩৩ বছর আগে সেহরি, ইফতার এবং নামাজের সময়সূচি প্রণয়ন হয়। ওই সময়সূচি কয়েক যুগ ধরে চলে। সেখানে সেহরি, ফজরের আজান ও ইফতারের সময়ের সঙ্গে ৩ মিনিট করে সতর্কতামূলক সময় রাখা হয়েছিল।
“সেহরি ৩ মিনিট আগেই শেষ করে এবং ফজরের আজান ৩ মিনিট পিছিয়ে মাঝে ৬ মিনিট ‘অলস সময়’ রাখা হয়েছিল, যা শরিয়তে নেই।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আগের ক্যালেন্ডারে ফজরের আযান সতর্কতা হিসেবে ৩ মিনিট পর ধরায় অনেকের রোজা নষ্ট হচ্ছে। কারণ সাধারণ মানুষ মনে করে আজান পর্যন্ত সেহরি খাওয়া যায়।
ইফতারের সময়সূচিতে সতর্কতা হিসেবে ৩ মিনিট পরে রাখা হয়েছিল। ব্যক্তি জীবনে অনেকে সতর্কতা হিসেবে আরও ৩ মিনিট পরে ইফতার করেন। এতে করে ইফতারের সময় ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তি বলছে, শরীয়তের বিধান মতে ‘শিগগিরই ইফতার করা উত্তম’। তাছাড়া বহির্বিশ্বে সময় নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তারা বলছেন এই সময়সূচির (৩ মিনিট কমিয়ে এবং ৩ মিনিট বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে) সঙ্গে তাদের অমিল পরিলক্ষিত হয়, এতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলছে, “সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেহরি, ফজরের আযান এবং ইফতারের জন্য কেবল ‘সঠিক সময়’ ইসলামিক ফাউন্ডেশন তৈরি করবে। কেউ চাইলে নিজ দায়িত্বে ‘সতর্কতা’ অবলম্বন করতে পারেন।“