সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায়ও আনা হবে তথ্য দিয়েছেন তিনি।
Published : 09 Oct 2024, 12:06 AM
আওয়ামী লীগ সরকার পতন ঘিরে ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের দিন থেকে পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর হামলা, তাদের বাড়িঘর ও ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার খবর রয়েছে।
সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায়ও আনা হবে বলে জানাচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক থেকে উপদেষ্টার চেয়ারে বসা নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার ঢাকায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কার্যালয়ে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা-ইউনেস্কো এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুসান ভাইজের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টার বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
তাতে অবশ্য উপদেষ্টা বলেছেন, “৫ অগাস্টের পর দেশের কয়েকটি জায়গায় সংখ্যালঘু অত্যাচারের ঘটনা ঘটলেও সেগুলোকে বেশ বড় করে বহির্বিশ্বের মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে।
"যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেখানে যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে, পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”
বাংলাদেশের আন্দোলন এবং বর্তমান সরকার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এই অপপ্রচার; এই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা-ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুসান ভাইজ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম প্রকল্প চলমান রাখার বিষয়ে তিনি উপদেষ্টার সম্মতি চান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যুগের সাথে তাল মেলাতে তা অপরিহার্য। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম প্রকল্পের কাজ চলমান রাখার পাশাপাশি এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
উপদেষ্টা বলেন, আন্দোলনে বেশ কিছু সাংবাদিক হতাহত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সাংবাদিকদের যে একটি অংশ ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে জনগণ সংক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় মামলা করছে, সে মামলায় অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছে।
“তবে সবার আইনি অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একটি কমিটি করেছে। ফলে তারা আইনি সহায়তা পাবেন।”
তথ্য ও যোগাযোগ কর্মকর্তা নূরে জান্নাত প্রমা বলেন, মিডিয়া সংস্কার, বাংলাদেশে নারী সাংবাদিকের সুরক্ষা এবং সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে তারা (ইউনেস্কো) বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
যোগাযোগ বিভাগের প্রধান নুসরাত আমিন বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং নিউ মিডিয়ার বিভিন্ন তথ্যের উৎসের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে তারা (ইউনেস্কো) বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে ইউনেস্কোর নীতি বিশ্লেষক আফজাল হোসেন সরোয়ার, এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র গভর্নেন্স স্পেশালিস্ট শিলা তাসনিম হক উপস্থিত ছিলেন।