আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, খোরশেদ মিয়া আলম, নজরুল ইসলাম ও আল মামুন রাসেল।
Published : 04 Mar 2025, 04:53 PM
অর্থপাচারের মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুলের আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেয়।
সরকারি কৌসুলি (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী জানান, এদিন দুপুরে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। প্রথমে তাকে রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়; পরে তোলা হয় কাঠগড়ায়।
সেখানে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির পরিদর্শক সায়েদুর রহমান তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
ইমরানের পক্ষে জামিন আবেদন করা আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও আল মামুন রাসেল।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানির পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
এর আগে ইমরানের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় অর্থপাচারের মামলা করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এসআই জোনাঈদ হোসেন।
মামলায় সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুল আলম জেনিথ ও সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেডকে আসামি করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় পাঁচ থেকে সাতজনকে।
এ মামলার পর সোমবার বিকালে রাজধানী থেকে ইমরানকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু আমদানিসহ আসামিরা চোরাচালান ও জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা পাচার করেছেন।
‘ছাগলকাণ্ডে’ নতুন করে আলোচনায় আসা ইমরান হোসেনের ২৭টি ব্যাংক হিসাব এর আগে অবরুদ্ধের আদেশ দেয় আদালত। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলাও আছে।
গত বছর ঈদুল আজহার আগে কোটি টাকার দামের ‘বংশ মর্যাদাসম্পন্ন গরু’ ও ছাগলের দাম ১৫ লাখ টাকা চাওয়ার ঘটনায় শুরু হয় সমালোচনা।
সেই ছাগল ১২ লাখ টাকায় কেনার চুক্তি করেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণ।
১৯ বছরের তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১২ লাখ টাকায় ছাগল কেনার চুক্তির পর তার বাবা এনবিআর সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য আসে গণমাধ্যমে।
এরপর সাদিক অ্যাগ্রোর নানা অনিয়মের বিষয়েও প্রতিবেদন প্রকাশ হয় সংবাদমাধ্যমে।
কোভিড মহামারীর সময়ও আলোচনায় আসে সাদিক অ্যাগ্রো। ২০২১ সালের জুলাইয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধরা পড়ে টার্কিশ এয়ারলাইন্সে আসা নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের ১৮টি গরু।
‘শাহিওয়াল’ নাম দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গরুগুলো আমদানি করেছিল সাদিক অ্যাগ্রো।
ওই সময় গরু আমদানির প্রতিটি নথি জাল হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন শুল্ক কর্মকর্তারা। সে সময় গরু আমদানির বৈধ কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন।