২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজউকের প্লট বরাদ্দে সকল অনিয়মের অভিযোগও এই কমিটিকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।
Published : 24 Oct 2024, 03:27 PM
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রাজউকের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছে হাই কোর্ট।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজউকের প্লট বরাদ্দে সকল অনিয়মের অভিযোগও এই কমিটিকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।
একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
সাবেক বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরীকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের ওই কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার ও প্রকৌশলী আলমগীর হাসিন।
রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটিকে ১২০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে বরাদ্দ করা প্লটসহ রাজউকের সকল অবৈধ বরাদ্দ বাতিল চেয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী।
রাজউকের প্রস্তাবিত কূটনৈতিক জোনে ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রোডের আশপাশের এলাকায় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তার ছেলে-মেয়ে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকের নামে প্লটগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা ১০ কাঠার প্লট (প্লট নম্বর ০০৯) বরাদ্দ পেয়েছেন। ২০২২ সালের ৩ অগাস্ট তার নামে রাজউক বরাদ্দপত্র দেয়।
সজীব ওয়াজেদ জয় (প্লট নম্বর ০১৫) এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও (প্লট নম্বর ০১৭) ১০ কাঠা করে প্লট পেয়েছেন। জয়ের বরাদ্দপত্র ২০২২ সালের ২৪ অক্টোবর ইস্যু করা হয় এবং ১০ নভেম্বর মালিকানা সংক্রান্ত রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়। পুতুলের বরাদ্দপত্র ২ নভেম্বর ইস্যু করা হয়।
শেখ রেহানাও ১০ কাঠার প্লট (প্লট নম্বর ০১৩) বরাদ্দ পেয়েছেন। তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের (প্লট নম্বর ০১১) এবং মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের (প্লট নম্বর ০১৯) নামেও একই পরিমাণের প্লট বরাদ্দ হয়েছে।
পুরনো খবর