“এটি জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ সর্ম্পকে দেশ-বিদেশে ইতিবাচক কোনো বার্তা দেবে না,” বলছে টিআইবি।
Published : 07 Feb 2025, 08:09 PM
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঘরবাড়ি ও স্থাপনায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পরিস্থিতিকে গণতান্ত্রিক উত্তরণ, সুশাসন ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
এমন পরিস্থিতির জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিষয়গুলো নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে সংস্থাটি।
ভারতে পালিয়ে থাকা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইনে দেওয়া বক্তব্যের পাল্টায় বুধবার রাত ৯টার পর থেকে ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবের স্মৃতি বিজড়িত ৩২ নম্বরের বাড়িতে চলছে ভাঙচুর। বুলডোজার দিয়ে সেটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে এখন যে অংশটি দাঁড়িয়ে সেটিতেও লোকজন হাতুড়ি চালাচ্ছেন রড-ইট খুলে নেওয়ার জন্য।
ঘটনার দুদিন পর শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বহুমাত্রিক অধিকার হরণের শিকার আপামর দেশবাসীর ক্ষোভের মাত্রা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে পলাতক শেখ হাসিনা ও তার দেশি-বিদেশি সহযোগীদের নির্লজ্জ ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণার পরিপ্রেক্ষিতে। তাই বলে আইনসিদ্ধ প্রতিক্রিয়ার পথ অনুসরণ না করে দেশব্যাপী যে প্রতিশোধপ্রবণ ভাঙচুর ও সহিংসতা চলেছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না, এটি জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ সর্ম্পকে দেশ-বিদেশে ইতিবাচক কোনো বার্তা দেবে না।”
তিনি বলেন, “সহিংস কর্মসূচির ঘোষণা আগে দেওয়া হলেও আইনশৃঙ্খলা সংস্থা, সেনাবাহিনী, সরকার নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে আশঙ্কাজনকভাবে ‘নির্লিপ্ততার’ পরিচয় দিয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনাটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত’ এমন বিবৃতি দিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টাও লক্ষণীয়।
“শুধু দায়সারা বিবৃতি দিয়ে নয়, যেকোনো পরিস্থিতি আইনসিদ্ধভাবে মোকাবেলায় সরকারের দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার রেশ ছড়িয়েছে দেশজুড়েও। ঘটনার দিন বুধবার রাতে ধানমন্ডিতে শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও ভাঙচুর-আগুন দেওয়া হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় বঙ্গবন্ধুর নামফলক, ভাস্কর্য ও ম্যুরালসহ স্থাপনায় ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘরেও।
পরিস্থিতি উত্তরণ ও গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষায় সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নেবে এবং সংশ্লিষ্টরা সহনশীলতার পরিচয় দেবে-এমন প্রত্যাশার কথা লিখেছে টিআইবি।