“আমরা চাই, লাশের ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে বাবার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা যেন দূর হয়,” বলেন সামিরা।
Published : 05 Sep 2024, 04:49 PM
বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
হারিছের মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরীর করা একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
সামিরা তানজিম চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহদীন চৌধুরী।
পরে সামিরা বলেন, “বাবাকে মিথ্যা মামলায় হেনস্তা করা হয়েছে বারবার। তার মৃত্যু নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা হয়, যা অত্যন্ত বেদনার। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশপ্রেমিক। তাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়নি। আমরা চাই, লাশের ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ধোঁয়াশা যেন দূর হয়।”
তিনি বলেন, ৬৮ বছর বয়সে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে তার বাবা মারা গেছেন। ঢাকার অদূরে একটি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর লাপাত্তা হয়ে যান হারিছ। তখন অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তার তিন বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি গাড়ি অন্যকে ব্যবহার করতে দেওয়ার আরেক মামলায় তার ৫৯ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ হয়।
২০১৮ সালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে হারিছেরও সাত বছরের সাজা হয়। তার আগেই ওই বছর গ্রেনেড হামলার মামলায় হারিছের সাজার রায় হয়।
হারিছ বিদেশে পালিয়ে আছেন বলে মামলাগুলোর তদন্তকারীরা তখন বলে আসছিলেন। হারিছের স্ত্রী-সন্তানরাও যুক্তরাজ্যে থাকছিলেন।
২০২১ সালের শেষ দিকে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে হারিছের কথিত মৃত্যুর খবর আসে। তবে কোথাও বলা হচ্ছিল, হারিছ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা গেছেন। কোথাও বলা হয়, হারিছ মারা গেছেন লন্ডনে।
২০২২ সালের ৬ মার্চ দৈনিক মানবজমিনের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, হারিছ ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালেই মারা যান ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। তার আগে ১১ বছর মাহমুদুর নামে ঢাকার পান্থপথের একটি ফ্ল্যাটে থাকছিলেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে হারিছকে ঢাকার সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের জালালাবাদের কমলাপুর এলাকায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদ্রাসায় ৪ সেপ্টেম্বর দাফন করা হয় বলেও দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন:
হারিছ না মাহমুদুর: থই পাচ্ছে না পুলিশও
হারিছ চৌধুরীর রেড নোটিশ সরাতে 'মৃত' প্রমাণের দায়িত্ব পরিবারের: সিআইডি