পথচারীর পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে গ্রেপ্তার পল্লবী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাহবুবুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অন্য দুই আসামি হলেন- মো. রুবেল ও মো. সোহেল রানা।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক মো. শাহজাহান আলী বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন ওই দিনই (সোমবার) অভিযোগপত্রে ‘দেখিলাম’ লিখে সই করেছেন।
“পরবর্তী কাজের জন্য নথিটি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম বরাবর পাঠানো হয়েছে। তিনি বাদীকে এ বিষয়ে নোটিস করে অভিযোগপত্র যাচাই-বাছাই করে গ্রহণ করবেন। তারপরে বিচারের জন্য অন্য আদালতে স্থানান্তর করবেন।”
গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় খলিলুর রহমান নামের একজন পথচারীকে ধরে নিয়ে যান এএসআই মাহাবুবুলসহ কয়েকজন। পরে ওই ঘটনার একটি ভিডিও প্রচার করে একাত্তর টেলিভিশন।
তাতে দেখা যায়, এক সোর্সের কাছ থেকে ইয়াবার পোটলা নিয়ে পথচারী খলিলুরের পকেটে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন সাধারণ পোশাকে থাকা এএসআই মাহাবুবুল। ভুক্তভোগী পথচারীকে মারধরও করতে দেখা যায়।
টেলিভিশনে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারের পর এএসআই মাহাবুবুলকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি কাজী শাহান হক ওই সময় বলেছিলেন, পথচারীর পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগে এসআই মাহাবুবুলসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়েছে।
সেই মামলায় দুদিনের রিমান্ড শেষে গত ১১ সেপ্টেম্বর তাদের কারাগারে পাঠায় আদালত। পরে বিভিন্ন সময়ে তিন আসামি জামিন নেন।