আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার, ডিবি, সিআইডি ও এসবি প্রধানকে বিবাদী করা হয়েছে।
Published : 20 Apr 2025, 08:24 PM
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
এতে পুলিশ সদর দপ্তরের গত ১০ এপ্রিলের ওই অফিস আদেশের কার্যকারিতা স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।
রোববার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর দ্বৈত হাই কোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিমউদ্দিন।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার, ডিবি প্রধান, সিআইডি প্রধান, এসবি প্রধানকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী জসিমউদ্দিন আশা করছেন চলতি সপ্তাহে এটির ওপর শুনানি হতে পারে।
তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি লাগবে এমন বিধানকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায় থাকাবস্থায় পুলিশ সদর দপ্তরের এমন আদেশ অবৈধ।
তিনি বলেন, কোনো ফৌজদারি মামলা হওয়ার পর যদি কোনো ব্যক্তি নির্দোষ হন তাহলে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিধান সিআরপিসিতে রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের আদেশ বিদ্যমান আইনকে পাশ কাটিয়ে করা হয়েছে, যা করার কোন সুযোগ নাই।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তারে লাগবে ‘ঊর্ধ্বতনের অনুমতি’: ডিএমপি
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গত ১০ এপ্রিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে আদেশ জারি করে।
এতে বলা হয়, মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি যে ঘটনায় যুক্ত ছিলেন, সে বিষয়ে উপযুক্ত প্রমাণ হাজির করার কথাও বলা হয়।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত ওই অফিস আদেশে বলা হয়, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্তে রুজু করা মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারনামীয় আসামির সংখ্যা অধিক। এসকল মামলার এজাহারনামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের জন্য উপযুক্ত প্রমানকসহ (ভিকটিমবাদীপ্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, ঘটনা সংশ্লিষ্ট ভিডিওঅডিওস্থির চিত্র ও মোবাইলের কল লিস্ট বা সিডিআর ইত্যাদি) অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে।”