Published : 24 Aug 2024, 03:58 PM
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন গুলিবিদ্ধ এক যুবক ১৯ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন।
৩০ বছর বয়সী মো. হাসান শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
হাসপাতালের পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
যাত্রাবাড়ীর কাঁচামাল আড়তের শ্রমিক হাসান কাজলা এলাকায় স্ত্রী এবং দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। ভোলার লালমোহন উপজেলার রাইসাত গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে হাসান।
হাসানের বাবা কবির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "গত ৫ অগাস্টে বিকাল তিনটার দিকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা মোড়ে আন্দোলন চলার সময় পুলিশের গুলিতে বাম হাতে ও মেরুদণ্ডে হাসানের গুলি লাগে। পরে তাকে উদ্ধার করে সেদিন বিকেলে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।"
ময়নাতদন্তের জন্য হাসানের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনের মধ্যে জেলায় জেলায় সহিংসতায় মাত্র তিন সপ্তাহে কয়েকশ মানুষের প্রাণহানির তথ্য আসে।
অগাস্টের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারবিরোধী থেকে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়।
৫ অগাস্ট আন্দোলনকারীদের ঢাকামুখী লং মার্চের মধ্যে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এরপর বিভিন্ন থানা, আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও নেতাকর্মীদের বাড়ি, হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়। সরকারবিহীন সাংবিধানিক সংকটের চার দিনে বহু মানুষের মৃত্যুর খবর আসে।
সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং আন্দোলনকারীদের তথ্যের বরাতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয়-ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই থেকে ১১ অগাস্টের মধ্যে ছয় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
এর মধ্যে ১৬ জুলাই থেকে ৪ অগাস্টের মধ্যে প্রায় ৪০০ মৃত্যুর খবর রয়েছে। আর ৫ থেকে ৬ অগাস্টের পরে বিক্ষোভের নতুন ঢেউয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২৫০ জনের।