অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করতে সমিতির সমন্বয়কদের মাধ্যমে ২২৫ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহের অভিযোগও উঠেছে সমিতির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
Published : 17 Oct 2024, 10:16 PM
ক্ষমতার অপব্যবহার করে ‘আর্থিক অনিয়ম ও ঘুষ’ নেওয়ার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একজন মহাব্যবস্থাপক ও তিনজন উপমহাব্যবস্থাপকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর তথ্য দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে চিঠি দেওয়ার কথা বলেছেন অনুসন্ধান দলের নেতৃত্বে থাকা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান।
চিঠিতে আগামী ২৭ ও ২৮ অক্টোবর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের কমিশনে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তারা হলেন বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মহাব্যবস্থাপক (জিএম) প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আসাদুজ্জামান ভূইয়া, মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম (কারিগরি) সামিউল কবীর ও বিপাশা ইসলাম, মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী ডিজিএম (ইএন্ডসি) রাজন কুমার দাস।
এদের মধ্যে হুমায়ুন কবীর ও আসাদুজ্জামান ভূইয়াকে আগামী ২৭ অক্টোবর এবং বাকিদের ২৮ অক্টোবর দুদকে আসতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ অনুসন্ধানে গঠিত দুদকের তিন সদস্যের দলের বাকি দুই সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা ও উপসহকারী পরিচালক মো. শাহজালাল।
দুদকের কর্মকর্তারা বলেছেন, সমিতির একজন ঠিকাদার কাজ শেষে ঘুষ না দেওয়ায় বিল থেকে জরিমানা হিসেবে টাকা কেটে রাখাসহ একাধিক বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে। পল্লী বিদ্যুৎ থেকে প্রাথমিক তদন্তে সেই অভিযোগের সত্যতা মেলায় সেটি দুদকে পাঠানো হলে যাচাইবাছাই শেষে তা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘’দেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুতের সমন্বয়কদের মাধ্যমে ২২৫ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আরও কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীর থেকে এই অর্থ সংগ্রহ করেছেন।
”এ বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে সমিতির জিএম হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (সমিতি ব্যবস্থাপনা) মো. আহসানুর রহমান হাসিবের সঙ্গেও মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সাড়া পাওয়া যায়নি।