ভুলের সংশোধনী দিয়ে শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি জারি করবে এনসিটিবি।
Published : 08 Jan 2025, 09:32 PM
বাংলা গদ্যে চলতি রীতির প্রাবর্তক, ‘বীরবল’ ছদ্মনামে পরিচিত খ্যাতিমান সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরীর জন্ম ও মৃত্যুর বছর নিয়ে ভুল ধরা পড়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে।
‘প্রমথ চৌধুরীর পৈত্রিক নিবাস পাবনা জেলার হরিপুর গ্রামে। তিনি ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মৃত্যু ১৯৪৬ সালে।’
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) একাদশ-দ্বাদশ ও আলিমের বাংলা বিষয়ের ‘সাহিত্য পাঠ’ বইয়ের ৪০ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে লেখক পরিচিতিতে এমনটাই বলা হয়েছে প্রথিতযশা এ সাহিত্যিক সম্পর্কে।
যার অর্থ দাঁড়ায়, মৃত্যুর ২২ পর জন্ম নিয়েছিলেন প্রমথ চৌধুরী!
প্রমথ চৌধুরীর জন্ম ১৮৬৮ সালের ৭ অগাস্ট যশোর জেলায়। আর ১৯৪৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর শান্তি নিকেতনে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠ্যবই বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হলেও উচ্চ মাধ্যমিকের বই শিক্ষার্থীদের কিনে নিতে হয়।
গত বছরের ১ জুলাই একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়েছিল। অগাস্টে সরকার পরিবর্তনের পর গত ১৮ নভেম্বর থেকে এ বইটি সংশোধন ও পরিমার্জনের পর বাজারজাত শুরু হয়। বইটি পরিমার্জন তদারকি করেছিল এনসিটিবি।
বইটি পরিমার্জনের দায়িত্বে ছিলেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ। তাদের একজন শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলনের (শিশির) আহ্বায়ক ও লেখক রাখাল রাহা বলেন, তিনি, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, সহকারী অধ্যাপক মো. রাফাত আলম মিশুসহ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের একটি দল বইটি পরিমার্জনের দায়িত্বে ছিলেন।
এ ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে রাখাল রাহা বলেন, “সিডিতে এ বইগুলোর সফট কপি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বিক্রি করে এনসিটিবি। পরে তারা বইগুলো ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করে।
“জুলাইতে ক্লাস শুরু হলেও এ বইগুলোর সিডি এনসিটিবি সংশ্লিষ্টরা আন্দোলনের কারণে প্রেসগুলোর হাতে তুলে দিতে পারেনি। অগাস্ট অভ্যুত্থানের পর এ বইসহ মোট চারটি বই পরিমার্জনের দায়িত্ব আমাদের ওপর আসে।
“বইগুলো পরিমার্জনের সময় আমাদের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। বইগুলোর ফাইল আউটলাইন করা ছিল। তাই সেগুলো কার্যত ছবি ফরমেটে ছিল। নানা ঝুঁকি নিয়ে সেগুলো পরিমার্জন করতে হয়েছে। তাই এ ভুলটি আসলে কম্পিউটার ডেস্কে প্রিন্টিং মিসটেক হয়েছে নাকি পরিমার্জনের সময় ‘তথ্যগতভাবে’ হয়েছে তা বলা মুশকিল।”
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, “এ ভুলের বিষয়টি আমরা বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেব।”