কুমিল্লা, রাজশাহী, বরিশাল ও ঢাকা অঞ্চলে বেশি আপত্তি।
Published : 20 Mar 2023, 06:10 PM
সংসদীয় আসনের খসড়া সীমানার পক্ষে-বিপক্ষে এবার আবেদন জমা পড়েছে ১৮৬টি। রংপুর ও সিলেট অঞ্চলে দাবি-আপত্তি আবেদন করেনি কেউ।
কুমিল্লা অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৮৪টি, রাজশাহীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩টি আবেদন রয়েছে। এছাড়া বরিশালে ২৯টি, ঢাকায় ১৮টি, খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চলে ৫টি করে এবং ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটি করে আবেদন পড়েছে।
সোমবার আগারওগাঁয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “আবেদনগুলো আসনভিত্তিক ভাগ করে কোন আসনে কতটি দাবি বা আপত্তি পাওয়া গেছে, সেগুলো নিয়ে কাজ করবে ইসি সচিবালয়। একই আসনে পক্ষে-বিপক্ষে এমন আবেদন থাকতে পারে। কোনোটা আবার নতুন প্রস্তাবসহ কোনো আবেদন থাকতে পারে।
“এটা যখন বিন্যাস করা হবে, তখনই বোঝা যাবে- কে কী চেয়েছে। এটা করতে একটু সময় লাগবে। এরপর কমিশনের প্লেস করবে। কমিশন তখন শুনানি করবে। কোনটার সীমানা পরিবর্তন করতে হবে, কোনটার লাগবে না- তখন নির্ধারণ হবে।”
আনিছুর জানান, বর্তমান সীমানাই বহাল রাখার আবেদন যারা করেছেন, তাদের আবেদনের শুনানি নেওয়ার দরকার নেই। যদি বিপক্ষে কেউ বলে থাকে, তখন শুনানির দরকার হবে।
সবকিছু পর্যালোচনা করে আগামী মাসে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সবশেষ ২০১৮ সালে দশম সংসদ নির্বাচনের আগে সীমানা নিয়ে ৬৩৩টি আবেদন জমা পড়েছিল। এরমধ্যে ২২৪টি আবেদন পড়েছিল ইসির প্রস্তাবিত সীমানায় সহমত পোষণ করে। বাকি ৪০৭টি আবেদন পড়ে ১৬ জেলার ৬০টি আসনের সীমানা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে।
সে সময় চার শতাধিক আবেদনের শুনানি শেষে ২৫ আসনে পরিবর্তন আনে কে এম নূরুল হুদা কমিশন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পাঁচ বছর আগের সীমানা বহাল রেখেই ২৬ ফেব্রুয়ারি খসড়া সীমানা প্রকাশ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এর মধ্যে মাত্র সাতটি আসনে প্রশাসনিক নতুন এলাকা কিংবা নাম পরিবর্তন হওয়ায় তা সংশোধনের প্রস্তাব করেছে ইসি। এসবের মধ্যে আছে ময়মনসিংহ ৪, মাদারীপুর ৩, সুনামগঞ্জ ১ ও ৩, সিলেট ১ ও ৩ এবং কক্সবাজার ৩ আসন।
৩০০ নির্বাচনী এলাকার খসড়া নিয়ে ১৯ মার্চ পর্যন্ত দাবি ও আপত্তি জানানোর সময় বেঁধে দেওয়া হয়। দাবি-আপত্তির আবেদন নিয়ে শুনানি শেষে এ বছরের মাঝামাঝি এসব আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করার কথা রয়েছে।
ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণে বরাদ্দ চাইবে ইসি
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এক লাখ দশ হাজার ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণে হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ ছাড় চেয়ে দ্রুত অর্থমন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।
অর্থ জোগান না পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানান তিনি।
এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, “গত ১৫ মার্চের কমিশন বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটা চিঠি দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ১ লাখ ৪০ হাজার ইভিএম মেরামতের জন্য এক হাজার ২৬০ কোটি টাকার মত লাগবে।
“একটা চিঠি প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামীকাল পাঠানো হতে পারে। …টাকার নিশ্চয়তা যদি পাওয়া যায়, আমরা অর্থবছর ভিত্তিক-এই অর্থ বছরে অর্ধেক দেওয়ার জন্য, পরবর্তী অর্থ বছরে বাকি অর্ধেক দেওয়ার জন্য এরকম একটা প্রস্তাব আমরা পাঠাচ্ছি। যদি অর্থ বিভাগ টাকা সংস্থান করে, তাহলে আমরা ইভিএমের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে উপনীত হব।”
কমিশনের হাতে থাকা ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণ করে ৫০-৭০ আসনে ইভিএমে ভোট করার সক্ষমতা রয়েছে ইসির, বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে ভোট করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর বলেন, “(ইভিএম মেনটেইনেন্সের জন্য) যদি টাকা না পাওয়া যায়, তাতেও আমাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে- ব্যালটে কতটা করব বা ইভিএমে আদৌ করব কি-না। কাজেই সবটাই নির্ভর করবে অর্থ প্রাপ্তির ওপর।”
সংসদীয় সীমানায় দাবি-আপত্তি: এবার মাত্র শখানেক আবেদন
ভোটের বছরের বাজেটে দ্বিগুণ বরাদ্দ চায় ইসি