কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকায় আসা তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের এ সদস্য এবার নিথর দেহে বাড়ি ফিরে গেলেন।
Published : 01 Jul 2023, 09:12 PM
পরিবারের সদস্যের সান্নিধ্যেই ঈদ উদযাপন করেছেন তিনি; কয়েক ঘণ্টা বাদেই আবার ফিরে গেলেন তাদের মাঝে। তবে এবার ছুটির আনন্দ নিয়ে নয়, সবাইকে কাঁদিয়ে একেবারে চির ছুটিতে গেলেন শেরপুরের পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান তালুকদার।
ঈদের ছুটি শেষে কাজে যোগ দিতে শনিবার ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সেই মনিরুজ্জামানের কাঁটা ছেড়া নিথর দেহ গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে।
শনিবার ভোরে ঢাকায় নামার পর মোহাম্মদপুরের ট্রাফিক তেজগাঁও অফিসে যাচ্ছিলেন তিনি। এ অফিসের দোতালায় ব্যারাকে থাকতেন তিনি। সেখানে যাবার পথে ফার্মগেইট সিজান পয়েন্টের সামনে ছুরিকাঘাতের শিকার হন এই পুলিশ কনস্টেবল। আহত অবস্থায় তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ নিয়ে বিকালে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন স্বজনরা।
তেজগাঁও থানার ওসি অপূর্ব হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে বিকাল ৩টার দিকে স্বজনরা মনিরুজ্জামানের লাশ বুঝে নেওয়ার পরই গ্রামের বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদীর করুয়া গ্রামে রওনা দেন বলে জানান ট্রফিকের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার উপ পুলিশ কমিশনার সাহেদ আল মাসুদ।
ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরে ছুরিকাঘাতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল
তিনি জানান, মনিরুজ্জামান অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন। বর্তমানে তিনি সড়কে দায়িত্ব পালন করতেন না। ট্রাফিক অফিসের প্রসিকিউশন বিভাগে কাজ করতেন। তার ২০ বছরের চাকরি জীবনের অধিকাংশ সময় ঢাকায় কাটিয়েছেন।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, নিহত মনিরুজ্জামান তার প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে কোনো সুদ নিতেন না। সুদ নেবেন না জানিয়ে চিঠি দেওয়ার পর তাকে সেটা দেওয়া হত না।
তার দুই ছেলের একজন চতুর্থ শ্রেণিতে এবং অপরজন দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে শেরপুরেই থাকেন।
সাহেদ আল মাসুদ জানান, অত্যন্ত নিরিবিলি থাকা পছন্দ করতেন মনিরুজ্জামান। তার কোন শত্রু নেই জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “মনিরুজ্জামান ছিনতাইকারীর কবলেই পড়েছিলেন বলে আমরা মনে করছি।”