গত ১৫ জানুয়ারি তারা ঢাকায় গ্রেপ্তার হন।
Published : 26 Jan 2025, 03:25 PM
ছাগলকাণ্ডে’ আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকিকে একদিন জেলগেইটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব।
দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে লাকির বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। ওই মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে গত ১৫ জানুয়ারি আবেদন করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক ইসমাইল। রোববার ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারক আদেশ দিয়েছেন।
শুনানিতে দুদকের কৌঁসুলি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, “তিনি সরকারি চাকরি করতেন। চাকরি করে যা আয় করেছেন, তা তার বৈধ আয়। এর বাইরে যা আয় দেখিয়েছেন, তার কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তিনি ছাগলকান্ডের মতিউরের স্ত্রী।
“তার কাছে আরো অবৈধ সম্পত্তি রয়েছে। তার এসব অবৈধ সম্পত্তি উদ্ধার প্রয়োজন। তার স্বামী মতিউরও রিমান্ড আবেদন রয়েছে। আগামীকাল শুনানি হবে। দুইজনকে একসাথে রিমান্ডে নেওয়া হলে ক্রস চেক করে তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব। তাই তার ৭ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করছি।”
আসামিপক্ষের ওয়াহিদুজ্জামান লিটন ঢালি বলেন, “এ মামলা সম্পূর্ণ মিথ্য ও বানোয়াট। ট্রায়ালে আমরা এটা প্রমাণ করব। আসামির যেকোনো শর্তে জামিন দেওয়া হোক।”
দেড় কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধভাবে ১৩ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে লাকির বিরুদ্ধে গত ১২ জানুয়ারি মামলা করে দুদক। তাকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহযোগিতার অভিযোগে মতিউরকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এর দুদিন বাদে ১৫ জানুয়ারি ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বছর কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকা দামে ছাগল কেনার ফেইসবুক পোস্ট ঘিরে মতিউর রহমানকে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনা শুরু হয়। ওই পোস্টটি দিয়েছিলেন ছেলে ইফাত।
ওই সময়ে বেসরকারি এক টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মতিউর বলেছিলেন, “চারবার দুদক তদন্ত করে দেখেছে, আমি কোনো দুর্নীতি করিনি।”