গত ১৭ সেপ্টেম্বর সমাজসেবা অধিদপ্তরের ডিজি আবু সালেহ মোস্তফা কামালকে ওএসডি করা হয়; কিন্তু তিনি এখনও ওই পদে কাজ করছেন, আইনজীবী।
Published : 05 Nov 2024, 08:30 PM
সমাজসেবা অধিদপ্তরের ওএসডি হওয়া মহাপরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামালকে তার দপ্তর থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
একইসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে তার দায়িত্ব পালন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানাতে রুলও জারি করা হয়।
এ বিষয়ে একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের চৌধুরী ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ রুলসহ নির্দেশনা দেয়।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন দেলোয়ার হোসেন ও মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।
মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর আবু সালেহ মোস্তফা কামালকে ওএসডি করা হয়েছে। কিন্তু তিনি এখনও ওই পদে থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। গত ৩০ তারিখ পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।
“তিনি কোন কর্তৃত্ববলে এখনও এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন তা জানতে চেয়ে আমি রিট করেছি। শুনানি শেষে কোর্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা মন্ত্রণালয়কে তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে ওএসডি করার পরও তার দায়িত্ব পালন করা কেন কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন।”
জনপ্রশাসন সচিব, সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
গত ১১ অক্টোবর দৈনিক কালেরকণ্ঠে ‘ওএসডি হয়েও পদ ছাড়ছেন না সমাজসেবা অধিদপ্তরের ডিজি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনে আবু সালেহ মোস্তফা কামালের বক্তব্যও প্রকাশ করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, “রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করা হয়। এই আদেশের প্রায় এক মাস পরও তা অমান্য করে ডিজি পদে বহাল তবিয়তে কাজ করে যাচ্ছেন এই কর্মকর্তা।”
ওএসডি হওয়ার পর কীভাবে কাজ করছেন জানতে চাইলে তিনি ওই প্রতিবেদককে বলেন, “সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে আমার অফিস করার মৌখিক নির্দেশ আছে। ওই নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছি।”
মৌখিক নির্দেশ কতটা যৌক্তিক জানতে চাইলে তিনি বলেন, “জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ হলেও দায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয় থেকে আমার অবমুক্তি না হওয়া পর্যন্ত অফিস করতে পারি। তাছাড়া এখানে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।”