পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এই ধরনের ‘ভিত্তিহীন’ দাবি অহিংস বিক্ষোভ বা আন্দোলনের সুযোগ তৈরির পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টা দুর্বল করতে পারে।
Published : 16 Jul 2024, 04:15 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলনে দুজন নিহতের যে ‘ভিত্তিহীন দাবি’ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর করেছে, তার সমালোচনা করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সোহেলী সাবরীন বলেছেন, যাচাই-বাছাই ছাড়া তথ্যে এ ধরনের ভিত্তিহীন দাবি সহিংসতাকে উসকে দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারের প্রতিক্রিয়ায় ‘চরম হতাশ’ হওয়ার কথা তুলে ধরে সাবরীন বলেন, “যেখানে তিনি বাংলাদেশের চলমান শিক্ষার্থী বিক্ষোভে কমপক্ষে দুজন নিহত হওয়ার অপ্রমাণিত দাবি করেছেন।
“এই ধরনের ভিত্তিহীন দাবি করার জন্য যাচাইহীন তথ্যের ব্যবহার সহিংসতাকে উসকে দিতে পারে এবং অহিংস বিক্ষোভ বা আন্দোলনের সুযোগ তৈরির পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টা দুর্বল করতে পারে।”
তিনি বলেন, “মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা আমাদের গণতন্ত্রের ভিত্তি। এবং সেসব অধিকার রক্ষার পাশাপাশি জনগণের সম্পদ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে অবিচল আছে সরকার।”
একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনি সমাবেশে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের উপর গুলির ঘটনাও টেনেছেন মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
তিনি বলেন, “গণতন্ত্র ও রাজনীতিতে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রাণনাশের চেষ্টা আমরা বিভীষিকার সঙ্গে প্রত্যক্ষ করেছি। এই ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
“এমন সহিংসতা গণতন্ত্রের মৌলিক মূল্যবোধের বিপরীত। পৃথকভাবে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ট্রাম্প বেঁচে যাওয়ায় ও সুস্থতার দিকে থাকায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন।”
গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একযোগে করার বিষয়ে বাংলাদেশ ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ বলেও মন্তব্য করেন সেহেলী সাবরীন।
পুরনো খবর: